আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ গোটা রাজ্যেই চলছে। বুধবার মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাত দখলের কর্মসূচিও বিশাল আকার নিয়েছিল। রাত দখলের সেই রাতেই এক মহিলাকে খোয়াতে হল আব্রু। প্রতিবেশীর অত্যাচারের হাত থেকে অল্পের জন্য মহিলার প্রাণ বাঁচে। তবে আশঙ্কা জনক অবস্থায় মহিলা ভর্তি রয়েছেন কলকাতার একটি হাসপাতালে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির প্রতিবাদে পথে নেমেছে নদিয়ার মানুষ।
নদীয়া জেলা ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি গ্রামে আবার এক মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করে খুন করার চেষ্টায় মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। ঘটনা নদিয়া জেলার ভীমপুর থানা অন্তর্গত ডিগ্রী গ্রামে। অভিযোগ গ্রামের এক মহিলাকে গতকাল গভীর রাতে পাশেরই গ্রামের এক যুবক ধর্ষণ করে। এই মহিলা কে শারীরিকভাবে অত্যাচার করা হয় এবং মাথায় আঘাত করা হয় । প্রতিদিনের মতো এই মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে পরিরিবারের দাবি । কর্মসূত্রে তার স্বামী বিদেশে থাকেন বলে জানায় পরিবার। সেই সুযোগে পাশের গ্রামের অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক গভীর রাতে ওই মহিলার বাড়ি আসে এবং তাকে শারীরিক অত্যাচার করা হয় পাশাপাশি তার মাথায়ও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
সকালবেলায় তার শাশুড়ি বাড়ির পেছনে গেলে দেখেন বিভিন্ন সরকারি কাগজ পড়ে রয়েছে বাইরে এবং একটু নজর ঘোড়াতেই তিনি দেখতে পান ঘরের সিধ কাটা এর পরবর্তীতে তিনি ঘরে গিয়ে দেখেন ,বৌমাকে অচৈতন্য পড়ে থাকতে। এই অবস্থা দেখার পর তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকেরা ছুটে আসে। মহিলাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে পাঠান হয় । বর্তমানে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা।
এই ঘটনা ঘটার পর পুলিশ ঘটনার স্থলে আসে এবং তদন্ত শুরু করে । যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে পুলিশ সেটাকে সিল করে দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে । এই ঘটনা ঘটার পর এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মহিলারা তীব্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । এলাকাবাসীর একটাই দাবি যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হোক। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।