১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। এবছর ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আর ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৪ জন। এবছর পরীক্ষাত্রীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৪৭ জন বেশি।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবছর ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন মাধ্যমি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আমাদের কাছে হিসেব রয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ৬২ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। লক্ষণীয়ভাবে ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে কিছু স্কুল জানিয়েছে যে তাদের পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। এটা সম্পূর্ণ স্কুলের ভুল। ৯৬৪৫ টি স্কুল নিয়ম মেনে কাজ করেছে। ১৪৫ টি স্কুল সেই কাজ করেনি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ১৮১ জন পরীক্ষার্থীর নতুন আবেদন আজ জমা পড়েছে। স্কুলগুলো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হয়।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার সময় কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থাকবে না। পরীক্ষা চলাকালীন যদি পাওয়া যায় তাহলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে। গত বছর ৪৫ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। কিছু চক্র চলে। গত বছর পুলিশ তদন্ত করে। পরীক্ষার্থীদের চেকিং শিক্ষকরাই করবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে শেষ বার ঘোষণা করে তারা জানিয়ে দেবেন। যদি তাদের কাছে কোনও ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট থাকে তাহলে যেন আত্মসমর্পন করে। টয়লেটে অনেক কিছু লুকিয়ে রাখা থাকে। আমরা এর প্রতিরোধ ২০২৪ সাল থেকে করছি। এবারও তা করা হবে।
এভাবে আগে থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের। ভুলেই কোনও ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট পরীক্ষা হলে নিয়ে যাবেন না। এতে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। টুকলি রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সম্মেলনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই কথা।