
পাটনা: বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার কুখ্যাত অপরাধী সুরেশ যাদব এখন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার সন্ধ্যা বাজারে তিনজন সশস্ত্র অপরাধী তাকে ঘিরে ধরে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাওড়া ও গোপালগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জের কুকুরভুক্কা গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ যাদব অপরাধ জগতে এক বড় নাম ছিল। ট্রিপল মার্ডার, মুখিয়া হত্যাকাণ্ড এবং একাধিক তোলাবাজি ও লুঠের মামলায় তার নাম ছিল। পুলিশ তাকে ধরার জন্য ক্রমাগত অভিযান চালালেও সে প্রতিবারই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্থানীয়দের মতে, সুরেশ যাদবের নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপত। হাওড়ায় তার হত্যাকাণ্ড অপরাধী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এক নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সুরেশ যাদব হাওড়ার সন্ধ্যা বাজার এলাকায় ছিল, তখনই তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় অপরাধী তাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলির আওয়াজে গোটা বাজার আতঙ্কে ডুবে যায়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গোপালগঞ্জ পুলিশের মতে, সুরেশ যাদবের হত্যাকাণ্ড পুরনো শত্রুতা বা গ্যাংওয়ারের ফল হতে পারে। যেহেতু হত্যাকাণ্ডটি পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে, তাই গোপালগঞ্জ পুলিশ হাওড়া পুলিশের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে।
পুলিশ এখন তদন্ত করছে সুরেশ যাদব কেন হাওড়ায় ছিল এবং কীভাবে সে বাংলায় অপরাধ নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল। সুরেশ যাদবের হত্যাকাণ্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তার প্রভাব বিহারের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। এর পাশাপাশি, তার হত্যার নির্দেশ কোনো বড় গ্যাং বা স্থানীয় অপরাধীরা দিয়েছে, নাকি এটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুরেশ যাদবের মৃত্যুর পর এলাকায় পুলিশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ ও হাওড়া পুলিশ যৌথ তদন্তের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এর পাশাপাশি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য কোনো অপরাধী বা গ্যাং সদস্যের হাত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।