মৃত মৎস্যজীবীর স্বজনদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে এসে বাক বিতণ্ডায় জড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় কাকদ্বীপের নয় জন মৎস্যজীবীর। বৃহস্পতি বার বিকেল বেলা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাকদ্বীপের মৃত ৯ জন মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে আসেন। তবে সেখানে গিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁকে দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়।
মৃত মৎস্যজীবীর স্বজনদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে এসে বাক বিতণ্ডায় জড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন স্থানীয় এক যুবক শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতদিন পরে রাজনীতি করতে এসেছেন। তখনই কার্যত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। পাল্টা তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, আগে গ্রামে নলকূপ বসান। পানীয় জলের সঙ্কট আছে। আমি রাজনীতি করতে আসিনি। পতাকা ছেড়ে এসেছি। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে দেখতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভিড় করে। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার আগে ঘটনাস্থলে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। প্রতি পরিবার কিছু এক লক্ষ টাকার চেক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে তুলে দেন এর পাশাপাশি মৃত মৎস্যজীবীদের বাচ্চাদের পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্বভার তিনি নিজে কাঁধে তুলে নেন। এ বিষয় স্বজন হারানো মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের এক সদস্য তিনি জানান, আমরা খুব খুশি হয়েছি উনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন উনি আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের সুখ-দুঃখের কথা শুনেন। এর পাশাপাশি তিনি আমাদের এই দুঃসময়ে আর্থিক সাহায্য করেন আমরা খুব খুশি।
মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন,তৃণমূলের এক যুবক আমাকে বলেন আমি রাজনীতি করতে এসছি। আমি তাকে বলেছি আগের গ্রামে কল বসান তোলার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা করে চেক দিয়ে গেছেন। মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়ি প্রতি আপনাদের ৫০ লক্ষ্য টাকা করে চেক দেওয়া উচিত। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আমি কোথাও রাজনীতি করি না আমি দলের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যৎসামান্য অর্থ দিয়ে পরিবারের এই দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারাও খুশি হয়ে আমাদের এই অনুদানকে স্বীকার করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্ব নেব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।