গায়ের জোরে ভোটের আগে বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি এদিন কোচবিহারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমি কোচবিহারকে ভালোবাসি।'
নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই মমতার নিশানায় কেন্দ্র। কোচবিহারের জনসভায় দাঁড়িয়ে সোমবার ফের বিএসএফ ইস্যুতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন কোচবিহার দক্ষিণের চান্দামারি প্রাণনাথ হাইস্কুলরে মাঠের জনসভাতে কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। গায়ের জোরে ভোটের আগে বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি এদিন কোচবিহারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমি কোচবিহারকে ভালোবাসি।'
সোমবার জনসভায় দাঁড়িয়ে বিএসএফ ইস্যু নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'গায়ের জোরে বিএসএফের এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আমি কোচবিহারে বারবার আসি। কোচবিহারের মানুষকে ভালোবাসি। এই জেলায়ও গুলি চালিয়েছে বিএসএফ। কোচবিহারে গুলি করে মারাটা যেন একটা অধিকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এরা করবে দেশ শাসন।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'আমি স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলব। নির্বাচনের আগে বর্ডারে মানুষকে বিএসএফ ভয় দেখাবে বলেও আমার কাছে খবর আছে। তবে আমি বলছি আপনাদের, কিছু করতে পারবে না ওরা।'
গতকালই কোচবিহারে পৌঁছেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে প্রচার পর্বের সূচনা। আজই কোচবিহার দক্ষিণের চান্দামারি প্রাণনাথ হাইস্কুল মাঠে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতেও সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে এবিএন শীল কলেজের মাঠে নামেন তিনি। এরপরই সোমবার বেলা ১২টা নাহাদ চান্দামারি থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একই সময় উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার থেকেই পঞ্চায়েতের জন্য পাহাড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। সেই মর্মে গতকালই কোচবিহারে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঠিক পরের দিনই সোমবার সকালেই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হলেং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
২৬ জুন, সোমবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে করে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে আজই দার্জিলিং-এ যাবেন রাজ্যপাল। প্রথম দু'দিন তাঁর গন্তব্য হবে দার্জিলিংয়ের রাজভবন। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচার-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার প্রশ্ন রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর এই একই সময় পাহাড় সফর কি উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে? উল্লেখ্য, অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রার সূচনাস্থল থেকেই পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার শুরু করবে তৃণমূল। কিছুদিন আগেই সারা বাংলা ঘুরে কাকদ্বিপে এসে শেষ হয়েছিল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবযোয়ার যাত্রা। এবার সেই পথেই শুরু হবে ঘাসফুল শিবিরের নির্বাচনী প্রচার। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই উত্তরে পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কোচবিহার থেকেই হবে ভোট প্রচারের সূচনা। আগামীকালই এই মর্মে কোচবিহার পৌঁছচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই শুরু হবে প্রচার কর্মসূচি। আগামী ২৬ জুন কোচবিহারের দক্ষিণে চান্দামারির প্রাণনাথ হাইস্কুল ময়দানে জনসভাও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।