কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট দেখে ও সওয়াল জবাবের পর নির্বাচন পিছোনোর প্রস্তাব দেয় আদালত। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অশান্তির ঘটনা রাজ্য জুড়ে। অশান্তির আবহেই চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে এরমধ্যেই মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। আজ ১২ জুন, সেই মামলার শুনানি। সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় এই মামলার। কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট দেখে ও সওয়াল জবাবের পর নির্বাচন পিছোনোর প্রস্তাব দেয় আদালত। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮ জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের জন্যও বিকল্প দিনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে সপ্তাহখানেক পিছিয়ে ১৪ জুলাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শুনানি চলাকালীন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন (১৬ জুন) বাড়ানো যেতে পারে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও দু'দিন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে আজই নির্বাচনের আবহে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। বাকি দিনগুলি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ হয় সেই কারণে এবার ১৪৪ ধারা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবার এমনটাই জানান হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই জেলার ডিএম, এসপিদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা। বেলা ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই বিধি।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ প্রয়োগ করল কমিশন। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি থাকছে একাধিক নিয়ম। মনোনয়ন জমা দিতে প্রার্থীর সঙ্গে এক জন সহোযোগীর ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি আছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিয়ে মামলার শুনানি আজই কলকাতা হাই কোর্টে। শুনানির ঠিক আগে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।