মদন মিত্রর নিশানায় রাজ্যপাল। এবারও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক রাজ্যপালকে হুমকি দেন। তিনি রাজ্যপালকে বাংলা ছা়ড়ার হুমকি দেন।
মদন মিত্রর নিশানায় রাজ্যপাল। এবারও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক রাজ্যপালকে হুমকি দেন। তিনি রাজ্যপালকে বাংলা ছা়ড়ার হুমকি দেন। পঞ্চায়েত নির্বচন নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ক্রমশই সংঘাত বাড়ছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আর কর্মীরা। রাজ্যপালের আচরণ তৃণমূলের যে পছন্দ না তা বারবার তৃণমূল নেতারা জানিয়ে দিচ্ছেন প্রকাশ্যে। মদন মিত্র বলেন, রাজভবনে বসে রাজ্যপাল যেভাবে হিংসা উসকে দিচ্ছেন, তিনি বিরোধীদের রাজভবনে ডাকছেন। দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে রাজভবনের পিস হাউসে। পিস হাউসে সারা বিশ্বের অপরাধীরা কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল নেতা মিত্র রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, "যা পারেন তাই করুন, কিন্তু ১১ তারিখের টিকিট বুক করুন। আপনাকে বাংলা ছাড়তে হবে।
মদন মিত্র বলেন,' আমরা ভগবান জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা করি যে আমরা খুব কষ্টে আছি, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাকে পরাজিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বাংলাকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভগবান যেন সব কষ্ট দূর করে আমাদের রক্ষা করেন।' শক্তি দিন যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি এবং মানুষের জন্য ভাল কাজ করতে পারি। উদাহরণ দিয়ে মিত্র বলেন, 'নবাব সিরাজদৌলা ষড়যন্ত্র না করলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসত না। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে।' কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ করে বিধায়ক বলেন, 'একটি ষড়যন্ত্র করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্যে সমস্ত বিএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করে তারা কিছুই করতে পারবে না।" বিএসএফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং সোনা চোরাকারবারিদের ধরা, কিন্তু তাদের আনা হচ্ছে। কেন্দ্রের উচিত ওয়াঘা সীমান্ত থেকে বিএসএফ প্রত্যাহার করা, তবে লোকেরা পরে ভোট দেবে বলে এতে কিছু যায় আসে না। ভোটকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বিএসএফ মোতায়েন থাকবে।'
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ক্রমশই রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস রীতিমত সক্রিয়। যেসব এলকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে সেই স্থানগুলি তিনি নিজে পরিদর্শন করছেন। প্রয়োজনে কথা বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে। কথা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। যা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বা কর্মীরা পছন্দ করছেন না বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে রাজভবনে একাধিকবার বিরোধী বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার গেছেন। দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগও শুনেছেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে এদিন রাজ্যপালকে নিশানা করেন মদন মিত্র।