উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙরের নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারপরই কুপিয়ে খুন করা হয় ওই প্রার্থীকে।
নির্বাচনের আবহে ফের উত্তপ্ত ভাঙর। এবার বাড়িতে ঢুকে নির্দল প্রার্থীকে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙরের নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারপরই কুপিয়ে খুন করা হয় ওই প্রার্থীকে। পাশাপাশি তাঁর আত্মীয়দেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে এখানেই শেষ নয়, এইদিনই রঘুনাথপুর গ্রামের আইএসএফ প্রার্থী ভারতী মণ্ডল ও তাঁর বাড়ির লোককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতভর এলাকাজুড়ে চলে বোমাবাজির ঘটনা।
ভাঙরের ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিক পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বললেন,'আমাদের ঝান্ডা তুলে ফেলে দিচ্ছে, আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তবুও আমরা সরকারের কাছে প্রশাসনের কাছে একটা আস্থা রেখে প্রতিবাদে নামছি না।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন,'পুলিশের সঙ্গে কথা বলব, যে সকল সমাজ বিরোধীরা এই কাজ করছে তাদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।'
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়ছে না দফা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বাতিল হল নির্বাচনে দফা বৃদ্ধির আবেদন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, অতএব এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দফা বৃদ্ধির আবেদন গুরুত্বহীন। ফলে এক দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই এই মুহূর্তে নতুন করে দায়ের হওয়া এই মামলায় আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত কয়কদিন আগেই, স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে এই প্রথম সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালো ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার লিখিত চিঠি দিয়ে এই বিষয় স্পষ্টভাবে জানানো হল। পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়,পঞ্চায়েত নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। এমনকী বিডিও-এর তত্ত্ববধানেই এই কাজ হচ্ছে বলে দাবি করছে গেরুয়া দল। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।