শুভেন্দু বলেন বাংলার মানুষের কাছে মাত্র দুটো রাস্তা খোলা রয়েছে। একটা হল গণঅভ্যুত্থান। দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে তিনি ৩৫৬ ধারা জারির কথা বলেন।
পঞ্চায়েত ভোটে নজিরবিহীন হিংসার অভিযোগ তুলে 'কালীঘাট চলো অভিযান'এর ডাক দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীনই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, কালীঘাট থেকে ইট খুলে নিতে হবে বাংলার মানুষকে। বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য তিনি পতাকা ছেড়ে বা পতাকা নিয়ে যে কোনও রকম কাজ করতে রাজি বলেও জানিয়েছেন।
শুভেন্দু এদিন বলেন বাংলার মানুষের কাছে মাত্র দুটো রাস্তা খোলা রয়েছে। একটা হল গণঅভ্যুত্থান। তারপরই তিনি কালীঘাট চলো অভিযানের ডাক দেন। তিনি বলেন 'গুলি করে করুন। প্রথমে ১০-২০ জন মরবে। কিন্তু তাহলে গোটা বাংলা বেঁচে যাবে। আমি সেই তালিকায় থাকতে রাজি আছি।' তারপরই তিনি দ্বিতীয় বিকল্পের কথা বলেন। শুভেন্দু বলেন, এছাড়া রাজ্যে ৩৫৬ অবথা ৩৫৫ ধারা জারি করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া তাঁর সামনে আর অন্য কোনও বিকল্প খোলা নেই বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে তিনি দিল্লির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। বলেন, 'দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে চা জানার দরকার নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি।' শুভেন্দু আরও বলেন, তিনি একটি কারণে দল বদল করছেন। একটি উদ্দেশ্য নিয়েও বিজেপিতে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন তাঁর মূল লক্ষ্যই হল বাংলাকে বাঁচানো। তার জন্য যা করার তিনি করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। পতাকা নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন। পতাকা ছেড়েও তিনি আন্দোলন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতে যাওয়ারও কথা বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন 'এভাবে ভোট হতে পারে না।' সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা সুপারি কিলার বলেও অভিহিত করেন।
তবে শুভেন্দু মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রীতিমত কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। ছোট ছোট ঘটনা ঘরছে। জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। বিজেপি হারবে। শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লির কাছে মুখ রক্ষার জন্য এজাতীয় নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। তিনি আরও বলেন ৭০ হাজার বুথের মধ্যে অল্প কয়েকটা বুথে সমস্যা হচ্ছে। এটা কোনও সন্ত্রাসের ঘটনা নয়। তিনি আরও বলেন তাঁর দলের একাধিক কর্মী ভোট সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন।