ভোট প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেত্রী শতাব্দী রায়। জল নেই, ত্রিপল নেই , রাস্তার বেহাল দশার অভিযোগ শুনতে হল সাংসদকে।
অনুব্রত মণ্ডল -হীন বীরভূমে গিয়ে আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ শতীব্দী রায়। রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার উপলক্ষ্যে বীরভূমে গিয়েছিলেন তিনি। সিউড়-১ নম্বর ব্লক থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেখানেই তিনি স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁকে শুনতে হয় স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও এবার অবশ্য শতাব্দী রায় মেজাজ হারাননি।
এদিন প্রচারে গিয়েছিলেন শতীব্দী রায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে স্থানীয়রা জানান, এলাকায় পানীয় জল নেই, সরকারি আবাস যোজনার টাকা পাননি বলেও মহিলারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই আবার বলেন, বাড়ির ছাদ নষ্ট হয়ে গেছে, আর সেই কারণে তারা ছাদ ঢাকা দেওয়ার জন্য বর্ষাকালে ত্রিপল চেয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে। তাতের সেটুকুও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'আমরাই ভোটে জিতিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আমারের সুবিধে অসুবিধে দেখে না পঞ্চায়েত। ' পাশাপাশি গ্রামের রাস্তাঘাটের অবস্থা দিখিয়েও ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলেই তাঁরা সাংসদের কাছে লিখিত অনুরোধও জানান রাস্তা দ্রুত মেরামতি করার ।
যাইহোক অনুব্রত মণ্ডল -হীন বীরভূমে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। সেখানেই তিনি স্মরণ করেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরুপাচার মামলায় তিনি বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে। কিন্তু বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে এখনও পর্যন্ত তাঁর দাপট অব্যাহত। জেলার একাধিক পঞ্চায়েতে এখনও পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকেও আবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তৃণমূলের জেতার পথ প্রসস্থ করেছে । এই অবস্থায় এদিন শতাব্দী রায় বলেন, 'যিনি দলের জন্য এতদিন ধরে কাজ করেছেন, তাঁকে মনে না করাটা অকৃতজ্ঞতা। আমি মনে করি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিৎ।' শতাব্দী আরও বলেন, এখন অনুব্রত মণ্ডল আইনি লড়াইয়ের জন্য রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তবে তিনি দ্রুত ফিরে আসবেন আর জেলার দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বীরভূম থেকে টানা জিতলেও দলীয় সূত্রের খবর জেলা রাজনীতিতে শতাব্দী সাধারণত অনুব্রত বিপরীতপন্থী হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তাঁর ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শত-সমালোচনা সত্ত্বেও কঠিন পরিস্থিতিতে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেননি। তাই শতাব্দীও সেই পথেই হেঁটে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে অনেকেই বলেন, সাংসদ হিসেবে তাঁর জয়ের পিছনে অনুব্রতর অবদানও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ
Weather News: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জের, কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে শনি-রবি বৃষ্টির পূর্বাভাস