২০১৬ সালেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষণের নতুন নিয়োগ চালু হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র ১ বছরের জন্য ওএমআর সংরক্ষণ করা হয়। তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুসারে, ওএমআর শিটের মূল্যায়নে গলদ এবং সেই শিটগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়া ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের অন্যতম কারণ। এই মামলায় ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন। ২০১৬ সালেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষণের নতুন নিয়োগ চালু হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র ১ বছরের জন্য ওএমআর সংরক্ষণ করা হয়। তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি এবার থেকে এসএসসির পরীক্ষার ওএমআর শিট কমপক্ষে ১০ বছর সংরক্ষণ করে রাখতে হবে’। পাশাপাশি সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীসভার অনুমোদনে তৈরি অতিরিক্ত শূন্যপদগুলি থেকে রাজ্য সরকার একটিও চাকরি দেয়নি। রাজ্য সরকারের বানানো অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকেই একজন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অথচ তিনিই আবার অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন’।
সুপার নিউমেরিক পোস্টে নিয়োগকেই অবৈধ বলে উল্লেখ করার পর ব্রাত্যর প্রশ্ন, ‘এটা যদি অনৈতিক আড়ালের চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে উনি তো বলতে পারতেন এসএসসি চাকরি দিক। অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা কেন বলেছিলেন?’
আদালতের রায়ে অতিরিক্ত শূন্যপদে (সুপার নিউমেরিক পোস্ট) নিয়োগকে অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন ব্রাত্য।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।