টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেলেও শিক্ষক নিয়োগ কবে হবে? এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রত্যেক বছরেই নিয়ম করে টেট পরীক্ষা হবে। তবে টেটে পাশ করা মানেই চাকরি পাওয়া নয়।
২০১৬ সাল থেকে বন্ধ ছিল প্রাথমিক টেট। ২০২২ সালে ফের শুরু হয়। নিয়ম মেনে প্রাথমিক টেট নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২৪শে ডিসেম্বর হয় ২০২৩ সালের টেট। এরপরেই পর্ষদ জানিয়ে দেয় এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। কিন্তু টেট পরীক্ষায় পাশ মানেই চাকরি পাওয়া নয়। একথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে পর্ষদ।
টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেলেও শিক্ষক নিয়োগ কবে হবে? এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রত্যেক বছরেই নিয়ম করে টেট পরীক্ষা হবে। তবে টেটে পাশ করা মানেই চাকরি পাওয়া নয়। প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হল প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা। টেটে উত্তীর্ণ হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেই যোগ্য প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তা চাকরির নিয়োগপত্র।
ব্রাত্য জানান, টেট পাশ করার সার্টিফিকেট পাওয়া মানে ওই পরীক্ষার্থী রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পরবর্তী সময়ে স্কুলগুলিতে শিক্ষকের শূণ্যপদের ওপর ভিত্তি করে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে। তাতে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার সাংবাদিক বৈঠকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে , যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তখনই নিয়োগ করা হবে। সরকার শূন্যপদ দিলেই নিয়োগ শুরু হবে। শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা কিছুদিনের মধ্যে মডেল উত্তরপত্র দেব৷ আমরা তারপর সময় দেয় পরীক্ষার্থীদের৷ তারা মতামত দেবে৷ আমাদের খুব বেশিদিন লাগবে রেজাল্ট বার করতে৷ আগের বার যেমন করেছিলাম, এ বারও সেভাবেই করার চেষ্টা করছি৷ তবে টেট একটি যোগ্যতা মান নির্ণায়ক পরীক্ষা, বিজ্ঞপ্তি যখন বার হবে, তখন নিয়োগ হবে।’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।