Bandel: রাতের অন্ধকারে জেসিবি দিয়ে হকার উচ্ছেদ রেলের, চোখের সামনে রুটিরুজি হারিয়ে অথৈ জলে ব্যবসায়ীরা

Published : Jul 12, 2025, 12:52 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Hawkers Eviction: রাতের অন্ধকারে ফের হকার উচ্ছেদে ধুন্ধুমার। ব্যান্ডেলে হকার উচ্ছেদে রণক্ষেত্র। শুরু তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Hawkers Eviction: রাতের অন্ধকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরের দোকানপাট। জেসিবি দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে সব দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল রেল। সেই নোটিশের বিরোধীতা করে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জোর করে উচ্ছেদ করলে প্রতিবাদ হবে।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো বিনা বাধায় সব দোকান ভেঙে দিলো রেল। জেসিবি চলল প্রচুর আরপিএফ এর উপস্থিতিতে। দশকের পর দশক ধরে ব্যান্ডেল স্টেশন এলাকায় রেলের জায়গায় দোকান চালিয়ে রুটিরুজি চালাতেন পরিবারগুলো।অমৃত ভারত প্রকল্পে ব্যান্ডেল স্টেশনকে আধুনিক করা হবে। পরিকাঠামো আমূল বদল হবে। তাই দখলকারীদের উচ্ছেদ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘’রাতের অন্ধকারে চোরের মত কাজ করেছে রেল। মানুষ বুঝুক কতটা অমানবিক কেন্দ্র সরকার।'' দলের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান বিধায়ক। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিতে আন্দোলন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, ‘’বিধায়ক জানতেন তারা যেটা করছেন সেটা বেআইনি। তাই গতকাল রাতে যখন উচ্ছেদ হচ্ছে তখন তৃণমূল নেতাদের দেখা পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরে ঝাঁটা হাতে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। ভোটের রাজনীতির জন্য।''

উচ্ছেদ হওয়া দোকানদাররা জানান, তারা ঘর ভাড়া দিতেন রেলকে, ইলেকট্রিক বিল দিতেন। করোনার পর থেকে সব বন্ধ ছিলো। শুক্রবার রাত বারোটার পর জেসিবি দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই দোকান চালিয়েই সংসার চলে। যারা দোকানে কাজ করে তাদেরও পরিবার চলে। এখন কি হবে তারা জানেন না।

অন্যদিকে, কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে শহরের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল জোকার ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট। সূত্রের খবর, যার সঙ্গে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই নির্যাতিতা ওই কলেজের পড়ুয় নয়। যদিও ঘটনার খবর পয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট পডুয়াকে।

পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা কলেজ হোস্টেলে গিয়েছিলেন এক বন্ধুর কাছে। হস্টেলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসিং-এর নাম করেই তাকে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলেজে নিয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। কলেজে প্রবেশের পরই বয়েজ হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। বিশেষ কাজ রয়েছে বলেও জানিয়েছিল অভিযুক্ত। বয়েজ হোস্টেলেই তরুণীকে জল ও পৎজা খেতে দেওয়া হয়। তরুনী জানিয়েছেন, সেগুলি খেয়েই তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগেই তাঁর ওপর নির্যাতন করা হয়। তরুণী বাধা দিতে গেলে মারধর পর্যন্ত করা হয়। তরুণী জানিয়েছেন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

নির্যাতিতা তরুণী সেখান থেকে বেরিয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় যান। কিন্তু ওই ম্যানেজমেন্ট কলেজ হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত। তাই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অ্যাকশন নেয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত পরমানন্দ জৈন। ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। অভিযুক্ত তরুণীর পূর্ব পরিচিত। তরুণী জানিয়েছেন, তাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?