
Birbhum News: এবার থলি ভর্তি ও রাস্তার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বোমা উদ্ধার করল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের দাতিন দীঘির কাছে দুবরাজপুর-বালিজুড়ি রাস্তার ধারে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের পিছনে থলি ভর্তি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই একসঙ্গে এতবোমা বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এছাড়াও ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের পাশে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাজা বোমাগুলি। এদিন সকাল থেকেই জায়গাটি ঘিরে রাখে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারা এসে বোমাগুলোকে যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই তাজা বোমাগুলি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাছে রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, পার্টি অফিসে তৃণমূল কাউন্সিলরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে শোরগোল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই কাউন্সিলর রাকেশ পাড়ুই আত্মঘাতী হয়েছেন। হরিণঘাটা পৌরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন রাকেশ পারুই। তিনি প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জেলা সভাপতিও ছিলেন। মোহনপুর তার নিজের পার্টি অফিসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় মানুষ ও দলের কর্মীরা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর দেহটি উদ্ধার করে হরিণঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে আসেন। মৃত কাউন্সিলরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্ত নেমে পুলিশ পার্টি অফিসটি সিল করে দিয়েছে। তবে পার্টি অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরার কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। সমস্ত বিষয়েই হরিণঘাটা থানার পুলিশ তদন্ত করছে।
এদিকে খোদ পার্টি অফিসের ভিতরে দলের কাউন্সিলরের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের মৃত্যুতে হতবাক সকলে। বিষয়টি শুধুমাত্র আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে মুখে অবশ্য কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক দলের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, ফের এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করল নদীয়ার ধানতলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর গতকাল রাতে ধানতলা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধানতলা থানা এলাকার দত্তপুলিয়া মনসাহাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত বাংলাদেশির নাম কাকলি আখতার ওরফে মণি।
বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর ওই বাংলাদেশি মহিলা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে কিছু মাস আগে এক ভারতীয় দালালের সহযোগিতায়। এরপর সে মুম্বাই চলে যায়। গতকাল রাতে ফের অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার উদ্দেশে গতকাল ধানতলা থানায় আসে ওই মহিলা তখনি তাকে গ্রেফতার করে ধানতলা থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।