
Malda News: পারিবারিক বিবাদে যুবককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, খুনের পর দেহ সিমেন্ট বালি দিয়ে প্লাস্টার করে চাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে খোদ কাকিমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, মালদহের এক নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবককে খুনের পর অভিযুক্ত কাকিমা দেহ লোপাটের উদ্দেশে তপন এলাকায় নিজের বাবার বাড়িতে প্লাস্টার করে মৃতদেহ চাপা দিয়ে রাখে। পুলিশ সূত্রে খবর, মালদায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকা থেকে। খুন করে বাড়িতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল মৃতদেহ। এমনকি প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকা। মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদার পুখুরিয়া থানার কোকলামারি নাদাব পাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাব।
যদিও তিনি ইংরেজবাজার শহরে তারা আত্মীয়র বাড়িতে থাকতেন। পেশায় ভিন রাজ্যে শ্রমিক সংগ্রহকারী ঠিকাদার এই যুবক। ইংরেজ বাজার থানায় সাদ্দামের আত্মীয়রা নিখোঁজের অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে কোনও ভাবেই ওই যুবকের হদিশ পাচ্ছিলেন না ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকেরা।
অবশেষে যে আত্মীয়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সাদ্দাম সম্পর্কে তার কাকিমা মৌমিতা নদাবকে পুলিশ আটক করে। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করলেও। লাগাতার পুলিশি জেলায় ভেঙে পড়েন মৌমিতা। এবং তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে সাদ্দামকে খুন করা হয়েছে। পুলিশে জেলায় তিনি এও জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে তার বাবার বাড়িতে বাড়ির মধ্যেই মৃতদেহ পুঁতে দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া আছে। সেই সূত্র ধরেই আজ সকালে তপন থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে মৌমিতা নাদাবকে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে শনিবারই প্রকাশ্যে আসে আরও একটি হাড়হিম করা ঘটনার খবর। গত ৩১ মে সাত সকালে এক ব্যক্তিকে এক মহিলার কাটামুণ্ড নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল বাসন্তী এলাকায়। পরে সেই ব্যক্তি বাসন্তী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু কেন এই প্রতিহিংসা? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কাজ শুরু হয়েছিল। শেষপর্যন্ত পুরো বিষয়টা খোলসা করল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরহনার বাসন্তীর পুলিশ কাটা-মুণ্ড তদন্তে নেমে পুলিশও রীতিমত চমকে গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত বিমল। যাকে হত্যা করা হয়েছে তার নাম সতী। পুলিস সূত্রের খবর, সতীর স্বামী মাস চারেক আগে মারা যায়। পড়াশুনার জন্য ছেলেরা সোনারপুরে থাকে। সতীর বাড়ির পাশেই বিমলের বাড়ি। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বনিবনা ছিল না। প্রতিবেশী হলেও সম্পর্ক ছিল খুব খারাপ। সেই সম্পর্কই আরও খারাপ হয় শনিবার।
শনিবার সকালেই নিজের বাড়ির সামনে একটি আমগাছ থেকে আম পাড়ছিলেন সতী। তখন তাঁকে বাধা দেন বিমল। বিমল দাবি করে গাছটি তাদের মালিকানাধীন। সতী পাল্টা জানান গাছটি তাদের। গাছ নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। পরে তা বচসায় পরিণত হয়। সেই সময় হঠাৎ করেই ধারাল অস্ত্র বার করে বিমল। তারপরই বৌদিকে কুপিয়ে ধড় আর মাথা আলাদা করে দেয়। তারপরই বৌদির কাটামুণ্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় গোটা এলাকা।
ক্যানিং মহকুমা পুলিশের আধিকারিক রামকুমার মণ্ডল বলেছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরেই আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়
রাস্তার ওপর দিয়ে এক মহিলার কাটামুণ্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক যুবক। এক হাতে ধরা রয়েছে ধারাল অস্ত্র। অন্য হাতে ধরা হয়েছে মহিলার চুলের গোছা। টপটপ করে রক্ত পড়ছে মহিলার মুণ্ড থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখে ভয় সিঁটিয়ে গেলেও যুবকের চোখেমুখে আতঙ্কের লেশমাত্র নেই। শনিবার সাত সকালে এই ছবি দেখে মোটের ওপর ঘুম ছুটে গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনেকেই ট্রমায় রয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।