
মালদা জেলার রতুয়া থানার পুলিশের অভিযানে ফাঁস হল জাল নথি তৈরির চক্র। রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমুণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্ধারু গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি নথি ও সিলমোহর উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় ধৃত দু’জন—আব্দুল খালেক ওরফে বুলেট (৪০) এবং তার ভাতিজা শাহরুখ খান (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ২৯টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিলের মধ্যে রয়েছে সামসি ও চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত, শ্রীপুর অঞ্চল হাই স্কুল, মিলনগড় ও বাটনা হাই মাদ্রাসার সিল। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট, মার্কশিট, জন্মসনদ ও একটি কম্পিউটার প্রিন্টার। বাড়ির পেছনের জলাশয়ের ধারে আরও উদ্ধার হয়েছে সরকারি নথি ও একাধিক সিল।
তদন্তে উঠে এসেছে, ‘রাজা কম্পিউটার’ নামে দোকানেই তৈরি হত এইসব জাল নথি। প্রথমে দোকানের মালিক শরিফ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর জেরায় মূল চক্রের আরও এক সদস্যের নাম উঠে আসে। বর্তমানে দু’জনকেই সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ধৃত আব্দুল খালেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ঘনিষ্ঠ। তাঁর স্ত্রী সামসি পুলিশ ফাঁড়িতে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। তবে রাজনৈতিক যোগের বিষয়ে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রতুয়া থানার আইসি মানবেন্দ্র সাহা বলেন, “ঘটনার উৎস ও জাল নথিগুলির ব্যবহার কোথায় হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাব করা শুরু হয়েছে। এর যোগ বড় কোনও চক্রের সঙ্গে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।