সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতি থাকার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর দ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায় প্রতারণায় অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্কর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল।
সকালে তল্লাশি চালিতে দিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। আর বিকেলেই সেই কুলতলিতে উদ্ধার হল একটি লম্বা সুড়ঙ্গ। যে সুড়ঙ্গ প্রতারকের বাড়ি থেকে মাটির তলা দিয়ে সোজা চলে গেছে মালতা নদী পর্যন্ত। যা দেখে রীতিমত অবাক তদন্তকারীরা।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতি থাকার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর দ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায় প্রতারণায় অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্কর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশ বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তাতে দুই সাব ইন্টপেক্টর সহ তিন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিল। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়এছে প্রতারক হিসেবে অভিযুক্ত সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার ও মাসুদা সর্দার নামে এক মহিলাকে।
পুলিস সূত্রের খবর এই ঘটনার পরই আরও বেশি করে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এলাকায় অভিযানে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশি চালায়। সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশিতে যায়। সেখানেই সন্ধান পায় একটি সুড়ঙ্গের। পুলিশ সূত্রের খবর সাদ্দামের বাড়ির শোয়ার ঘরে থেকে সোজা মাতলা নদী পর্যন্ত চলে গিয়েছিল সেই সুড়ঙ্গ। তদন্তকারীদের অনুমাস সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিল সাদ্দাম।
সাদ্দাম সোনার ঠাকুর লুঠ করার নাম করে প্রতারণা করত। কেউ কেনার জন্য তার কাছে গেলে ক্রেতাদের সর্বস্ব লুঠ করে নিত সদ্দাম। তারপর দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিত তারপর আবারও এলাকায় এসে লুঠপাট প্রতারাণা শুরু করত। সাদ্দামের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এখনও সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখছে।