ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য।
ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য। প্রাথমিক তদন্তের পর, আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না এলেও, পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে সেই চিকিৎসকের দেহের পাশ থেকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার হওয়ার পরেই ঘনীভূত হয় রহস্য। সূত্রের খবর, সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীরে কিছু ঢোকানো হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তার জেরেই মৃত্যু।
শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না-থাকায় তদন্তকারীদের ধারণা, এই কাজ নিজেই করেছেন ওই চিকিৎসক। কারণ, এটি খুনের ঘটনা হলে প্রতিরোধের চিহ্ন থাকত শরীরে। তাছাড়া পেশাজীবনে অ্যানাস্থেটিস্ট হওয়ার দরুণ, কোন ওষুধ শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে, সেই সম্পর্কে নিহত চিকিৎসকের স্পষ্ট ধারণা ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গভীরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহের নমুনা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যেই ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “আর যাই হোক, এটি খুনের ঘটনা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।” বৃহস্পতিবার, ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুর এলাকার একটি লজের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের দেহ।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আদতে বেহালার বাসিন্দা দীপ্র বৃহস্পতিবার সকালেই পুজোর ছুটি কাটিয়ে ঝাড়গ্রামে ফেরেন। আর তারপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারছিলেন না।
পুলিশ সূত্রে আগেই জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনের নানা টানাপড়েনের কথা স্ত্রীকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন ৩২ বছরের দীপ্র। সেখানে পুরনো স্মৃতি কাটিয়ে ওঠার আগে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না বলেও জানান তিনি।
একটি মেসেজে লেখা ছিল আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গও। তিনি মেসেজে লেখেন, “নোংরা পৃথিবী, অবিচার, নোংরামি দেখেও অন্ধ হয়ে থাকে সবাই। এই ভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? এ কোন দুনিয়ায় আমরা বাস করছি? ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, জেগে থাকতে ইচ্ছে করে না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।