ভূপতিনগরের বিস্ফোরণস্থলে বিজেপি, বম্ব স্কোয়াডের কর্তাদের সামনেই হুড়মুড় করে তাড়া করলেন তৃণমূল সমর্থকরা

কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। চড় থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 6, 2022 5:25 AM IST / Updated: Dec 06 2022, 10:57 AM IST

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রাম। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে তীব্র বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। তৎক্ষণাৎ নিজের বাড়িতেই প্রাণ হারান এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ তাঁর দুই ভাই। সেই গ্রামেই ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা পৌঁছল চরম পর্যায়ে।

ভূপতিনগরের ২ নম্বর ব্লকের নাড়ুয়াভিলা গ্রামে ২ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল এলাকা। বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ ২জনের মৃত্যু হয়। এরপর, এই ভূপতিনগরেই বিজেপি কর্মীরা ঢুকতে গেলে তাঁদের ব্যাপকভাবে প্রতিহত করা হয়। আচমকা তাড়া করেন তৃণমূল কর্মীরা। কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। চড় থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, ভূপতিনগরে বিজেপির হার্মাদরাই বোম মেরেছিল। তার জেরে এদিন একেবারে পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

পরিস্থিতিকে ঘিরে এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একসময় ধুন্ধুমার কাণ্ডের সৃষ্টি হয়। কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ গ্রামের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের গাড়িও আটকে দেয় উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের সামনেই ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকরা বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

বিজেপির তরফ থেকে আগেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, নাড়ুয়াভিলা গ্রামে তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই কাজ করতে গিয়েই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার দুদিন পর সেই গ্রামেই গিয়েছিলেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাদের উপরই চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ক্ষিপ্ত মহিলারাও। গ্রামের রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করেন তাঁরা। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু তার পরেও দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিজেপি কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন বহু তৃণমূল সমর্থক। তৃণমূলের সরাসরি অভিযোগ বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরি বিজেপির যোগ রয়েছে। তদন্তের জন্য এলাকায় পৌঁছোন সিআইডি কর্তারা, উপস্থিত হয়েছিল বম্ব স্কোয়াডও। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশকর্মীরাও। সেই সময় এলাকায় কয়েকজন বিজেপি কর্মীও উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের দেখেই আচমকাই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।


আঞ্চলিক বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার দিক থেকে নজর সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে এইসব কাজ করছে তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মানুষ শান্তি চাইছেন, অথচ বিজেপি এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।


আরও পড়ুন-
দিল্লি পুর কর্পোরেশন কার দখলে, কী বলছে ইন্ডিয়া টুডে-টাইমস নাও-এনডিটিভি ও এবিপি নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষা
হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের ভোটের সমীক্ষা, ইন্ডিয়া নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষায় প্রাধান্য পেল বিজেপিই
 

Share this article
click me!