বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসানো ফলকে নাম নেই খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের! আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার

বিতর্ক তৈরি হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছাড়া এই ফলক ঘিরে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Parna Sengupta | Published : Oct 26, 2023 3:04 PM IST

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তার পরেই গত ১৯ অক্টোবর স্বীকৃতির ফলক বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ফলকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। তবে আশ্চর্যের বিষয় বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম এই স্বীকৃত ফলকটির কোথাও নেই।

এই পরেই রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছাড়া এই ফলক ঘিরে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন শুক্রবার সকালের মধ্যে বিশ্বভারতীর ফলকে ফিরিয়ে আনতে হবে রবি ঠাকুরের নাম। তা না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবে তৃণমূল। মমতার কথায়, ‘‘বিশ্বভারতী ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। তিনিই প্রতিষ্ঠাতা। ওঁর নাম সরিয়ে দিয়েছে! পুজো বলে আমরা এটা চুপচাপ হজম করেছি। কাল সকালের মধ্যে ওই ফলক না সরালে এবং রবি ঠাকুরের নাম ফিরিয়ে না আনলে ওখানে আমাদের লোক রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।’’

 

 

তবে গোটা বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেনি বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি-ফলক বিতর্কে পিছু হঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ওই ফলক অস্থায়ী ভাবে বসানো হয়েছে। ভবিষ্যতে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কবে সরানো হবে, তা নিয়ে কোনও দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। বিশ্বভারতীর তরফে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার ঠিক নীচে নরেন্দ্র মোদী এবং বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে বাংলার শাসকদল প্রশ্ন তোলে, ‘‘মোদীজি কি নিজেকে রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড় বলে মনে করছেন? এই প্রবণতা আসলে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।’’ বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনী এবং শিক্ষকদের একাংশও এই ফলক দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।

Read more Articles on
Share this article
click me!