রাজভবনের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও নাগরিক রাজভবনের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পাবে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা ভোটের মধ্যেই রাজভবনের একটি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা তা আবার নতুন মাত্রা নিয়েছে। এদিন রাজভবনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বাংলার জনগণের আদালতেই নিজের বিচার চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করার কথা বলেছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ বাংলার জনগণ দেখতে পারবে। কিন্তু দুই পক্ষ দেখতে পারবে না বলেও জানিয়েছে রাজভবন।
রাজভবনের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ওই সিসিটিভি ফুটেজ তারা প্রকাশ করবে। তবে সবার জন্য নয়। রাজভবনের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও নাগরিক রাজভবনের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পাবে। পারবে না দুই পক্ষ- এক পক্ষ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও দ্বিতীয় পক্ষ হল তার পুলিশ। বুধবার রাজভবন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে সাচ কা সামনে নামের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখাবে। এর জন্য ইচ্ছুক নাগরিকরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্চ নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর কথা প্রকাশ করেছে রাজভবন। সিসিটিভি ফুটেজে ঘোষণা করা হয়েছে, রাজভবন সিসিটিভি ফুটেজ দেখাচ্ছে তার কারণ হল কেউ যাতে মনে না করে যে রাজভবন ফুটেজ আড়াল করতে চাইছে বা দেখাতে চাইছে না। কিন্তু রাজভবন ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর তাঁর পুলিশ যে ভূমিকা নিয়ে তাতে ফু়টেজ দেখান হবে না বলেও ঘোষণা করেছে রাজভবন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় স্থানীয় হেয়ারস্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন এক মহিলা। তিনি নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলপাড় হয়েছে রাজ্যরাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ভয়াবহ! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় আসছেন। তাঁর রাজভবনে রাত্রিবাস করার কথা। তারমধ্যেই এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি যখন রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে দেখা করতে গিয়েছিলেন তখনই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযোগকারিনীকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।