"ওষুধ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই কি প্রাণ গেল?" আরজিকরের তদন্তে বেরিয়ে এল বড় তথ্য
আরজিকরের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগে ওষুধ নিয়েও বেরিয়ে এল বড়সড় তথ্য। লক্ষ লক্ষ টাকার শ্বাসকষ্টের ইনহেলার কেনা হয়েছে 'লোকাল পারচেজ' থেকে। সরকারের বাছাই করা ওষুধ বিক্রেতার থেকে কেনা হয়নি এই সব ওষুধ। হুগলির রিষড়ার একটি সংস্থা থেকে কেনা হয়েছে বেশিরভাগ ওষুধ। সরকারি দরপত্রের মাধ্যমে অনুমোদিত সংস্থা নয়, এটি। সরকারের সঙ্গে এই সংস্থার কোনও চুক্তিও ছিল না।
আরজিকর কাণ্ডের সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি ও নিম্ন মানের ওষুধ কেনার যোগ থাকতে পারে বলেই অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার। নিহত চিকিৎসক কাজ করতেন ওই চেস্ট মেডিসিন বিভাগেই। ওষুধের মান নিয়ে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানান। এমনই অভিযোগ করেছেন একাধিক সিনিয়র চিকিৎসক।
এ ক্ষেত্রে অভিযোগ সরকারি ওষুধের দোকানে ওষুধের ঘাটতি না থাকলেও রিষড়ার ওই সংস্থা থেকেই লোকাল পারচেজ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে শ্বাসকষ্টের ওষুধ। কিন্তু কেন করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ নিগম জানিয়েছেন, "তেমন কিছু হয়ে থাকলে নিশ্চয় খতিয়ে দেখা হবে।"
ওই সংস্থা (এ এস মেডিক্যাল এজেন্সি)-র প্রধান অনুপ কুমার মণ্ডল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন "এ বিষয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করব না"।
জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে সরকারি ওষুধ সংস্থার থেকে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ৪৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৭২ টাকার ইনহেলার, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ৪৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৬০ টাকার ইনহেলার, নীলরতন ২৮ লক্ষ ৭৩ হাজার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার ইনহেলার কিনেছিল কিন্তু আর জি কর কিনেছিল ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮৮ টাকার ইনহেলার।
কিন্তু ওই একই সময়ে রিষড়ার ওষুধ সংস্থার থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার শ্বাসকষ্টের ওষুধ ও ইনহেলার কেনে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ।
এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর সদস্য, চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ জানান,"সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন কাটমানি খেয়ে নিম্ন মানের ওষুধ হাসপাতালে ঢুকিয়েছেন, তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্য দফতর কেন তদন্ত করছে না?"