অন্যদিকে সাগরদিঘিতে ভরাডুবি তৃণমূলের। কংগ্রেসের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেহে তৃণমূল।
নির্বাচনের ফলাফল বেরোতেই মেঘালয়ের মানুষদের ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটবার্তায় সকল মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। এদিন টুইটারে অভিষেক লিখলেন,'আমি বিনীতভাবে মেঘালয়ের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই আমাদের এত ভালবাসা দেওয়ার জন্য এবং আমাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। AITC নির্বাচিত ৫ জন বিধায়ককে অভিনন্দন। আমি রাজ্য জুড়ে প্রতিটি দলীয় কর্মীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই গত এক বছরে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জন্য।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'আমি এই সুন্দর পার্বত্য রাজ্যের জনগণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে আমরা একটি দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে অবিরত থাকব এবং ভবিষ্যতের সময়ে জনগণকে আন্তরিকভাবে সেবা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাব। '
অন্যদিকে সাগরদিঘিতে ভরাডুবি তৃণমূলের। কংগ্রেসের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেহে তৃণমূল। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল বাম কংগ্রেস জোট। এই জোটকে অর্থনৈতিক জোট বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় এদিন ছিল গেরুয়া শিবিরও। পাশাপাশি ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,'আমি মেঘালয়ের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মাত্র ৬ মাস আগে শুরু করেছি। পরের বার আরও এগিয়ে যাব। আরও সাফল্য পাব। ত্রিপুরায় এদিক ওদিক হতেই পারে। ওরা অন্য বিধায়ক কিনে নিতে পারে।'
কিন্তু সাগরদিঘি প্রসঙ্গে আর এতটা নরম সুর রইল না মুখ্যমন্ত্রীর। বাম-কংগ্রেস জোটের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়,'সাগরদিঘিতে আমরা হেরে গিয়েছি। কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। ভোট মাত্রেই প্লাস মাইনাস হয়। কিন্তু একটা অর্থনৈতিক জোট তৈরি হয়েছে। এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছি। বিজেপির ভোট এবার কংগ্রেসে গিয়েছে। সিপিএম কংগ্রেস এক হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে গণনার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী হলেও, এই বিপুল মার্জিনে ভোট পেয়ে আল্পুত প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসও। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন,'বণ্যেশ্বরে ৫১৫ ভোটে এগিয়ে। আর মণিগ্রাম অঞ্চলেও এগিয়ে আমরা। যেখানে খারাপ ফল হবে ভেবেছিলাম। সেখানেই যখন এগিয়ে তখন আর চিন্তা কীসের? জিতব জানতাম, কিন্তু মানুষ এতটা ভালোবাসবে ভাবিনি।' উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের গো়ড়ার দিকে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে সিপিআই(এম) সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পরিবর্তনের হাওয়া মুর্শিদাবের সাগরদিঘিতেই প্রথম লেগেছিল ২০১১ সালে। সেই সময় থেকেই এটি তৃণমূলের খাসতালুক। নির্বাচন কমিশন অবাধ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে।