আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. অপূর্ব বিশ্বাস ময়নাতদন্তের সময় চাপ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতার কাকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাকা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য এল আরজি কর কাণ্ড নিয়ে। চাপ দিয়ে তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করানোর অভিযোগ উঠেছিল এবার। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. অপূর্ব বিশ্বাস। অভিযোগের তির ছিল নির্যাতিতার কাকা-র প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতে চুপ করে থাকেননি সেই কাকা। তিনি বলেন, সমস্ত দাবি মিথ্যা। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, আমি অবাক। ওঁকে আমি চিনি না, আমাকে উনিকি করে চিনলেন জানি না। বাড়ি ফিরেই মৃতার মা-বাবাকে বলব, তদন্তের স্বার্থে তাঁরা যেন সিবিআইকে বলেন আমাকে ডাকতে। আর তখন যেন ওঁকে (অপূর্ব বিশ্বাস) আমার সামনাসামনি বসানো হয়। আমি নিজে ভীষণভাবে রাজি। যদি তখন মা-বাবা থাকেন আরও ভালো হয়। কারণ আমার কাছে বিষয়টি ভীষণভাবে স্বচ্ছ।
রবিবার সিবিআইয়ের তলবের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আরজি করে নির্যাতিতা ময়নাতদন্ত নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেন, ঘটনার দিন মেয়েটির কাকা পরিচয় দিয়ে প্রতিবেশী একজন হুঁশিয়ারির সুরে আমাদের বলে দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে। না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। পরে ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রাক্তন কাউন্সিলর হিসাবেও পরিচয় দেয়।
এই নিয়ে সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা আক্রমণ করে বলে, কেন, কী কারণে, কী উদ্দেশে বলছেন, বলতে পারব না। তবে আমি যে প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলাম এটা উনি খুব গুছিয়ে বলছেন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলাম। সেই সময়কালেই আমি কাউন্সিলর হিসাবে কাউকে পরিচয় দিতাম না। এটা ওয়ার্ডের মানুষ জানেন।