ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারইমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় কথা শুভেন্দু অধিকারীর।
'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার রাজ্যের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেয়। কিন্তু এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির কারণে প্রচুর পড়ুয়া এখনও টাকা পায়নি। ট্যাব কেলেঙ্কারিতে সরকারি অনুদান না পাওয়া স্কুলের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বা়ড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এই অবস্থায় আবার ভয়ঙ্কর কথা শোনালেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কেলেঙ্কারি ফাঁস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই অবস্থায় রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও দুর্নীতি রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'লক্ষ্মীর ভণ্ডার কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসবে।' শুভেন্দু বলেন, তাঁর কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নম্বরও রয়েছে। 'সব ফাঁস করব'- এমনটাই হুমকি দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ' পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের টাকা কাকদ্বীপের আই প্যাকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। ১২ কোটি টাকা। পরে চেক নম্বর বলে দেব।'
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই রাজ্যে কোনও সরকার নেই। সরকার নেই তাই রাস্তা থেকে বাস উধাও হয়ে গেছে। লটারি কেলেঙ্কারি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ডিয়ার লটারি পশ্চিমবঙ্গে সর্বনাশ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকারের লটারি বঙ্গলক্ষ্মী বা ধনলক্ষ্মী সমস্ত বন্ধ করে দিয়েছে জালিয়াতির জন্য। ভাইপো লটারি শেষ করে দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষকে।' তাঁর কথায় রাজ্যের দরিদ্র মানুষ ডিয়ার লটারির টিকিট কিনছে। নির্বাচনী বন্ডে এই সংস্থা তৃণমূল কংগ্রেসকে ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছে। তবে শুভেন্দুর এই মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য সরকার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।