সন্দেশখালি উদ্ধার হয়েছে ৩টি বিদেশি রিভলভার, ১টি কোল্ট রিভলভার এবং একটি বিদেশি পিস্তল। উদ্ধার হওয়া কার্তুজ এবং পিস্তল-রিভলভারের আনুমানিক দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
সন্দেশখালি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সম্প্রতি এই তদন্তের সূত্র ধরেই শেখ শাহজাহানের এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠের ডেরায় যৌথ অভিযান চালায় সিবিআই ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড। CBI-NSG-র যৌথ অভিযানে প্রচুর পরিমাণে দেশে-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা-বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি উদ্ধার হয়েছে ৩টি বিদেশি রিভলভার, ১টি কোল্ট রিভলভার এবং একটি বিদেশি পিস্তল। উদ্ধার হওয়া কার্তুজ এবং পিস্তল-রিভলভারের আনুমানিক দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এমন কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে যা পেতে গেলে দরকার লাইসেন্স এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। মনে করা হচ্ছে, হয়তো এসব চোরাই পথে আর্মস ডিলারদের কাছ থেকে মোটা টাকা দিয়ে কিনে আনা হয়েছিল সন্দেশখালিতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ক্যাশমেমো থেকে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলি কেনা হয়েছিল মধ্য কলকাতার এক আর্মস ডিলারের থেকে। তবে পুলিশের কোল্ট রিভলভার-সহ বিদেশি পিস্তলগুলির উৎস সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। সিবিআই এর অনুমান সম্ভবত কোনও এজেন্টের মাধ্যমে ‘ডার্ক ওয়েবে’ অর্ডার দিয়ে ওপার বাংলা থেকে অস্ত্রগুলি কেনা হয়েছিল। সেসবই আবু তালেবের বাড়িতে মজুত রাখা হয়েছিল।
তথ্য জানাচ্ছে মধ্য কলকাতার এক আর্মস ডিলারের কাছ থেকে রীতিমত ক্যাশমেমো নিয়ে কাতুর্জ কিনেছেন সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহান! শুক্রবার সড়বেরিয়া ওই ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ভাণ্ডারের পাশাপাশি শাহজাহানের পরিচয়পত্র সহ বেশ কয়েকটি রসিদ উদ্ধার করেছিলেন এনএসজি ও সিবিআই এর গোয়েন্দারা।
শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে সিবিআই। শাহজাহানের সঙ্গে ওই ব্যক্তির কী যোগসূত্র, কী ভাবে তার কাছে এত পরিমাণ অস্ত্র এল, সেই রহস্য সমাধানে নামে গোয়েন্দারা। এবার উদ্ধার হওয়া ওই আগ্নেয়াস্ত্রর সাথে শাহজাহান-যোগের হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।