ঘটনার দিন যাঁদের কাছে শাহজাহানের ফোন গিয়েছিল, এবার তাঁদের ওপর নজর দেওয়া হবে বলে খবর। শাহজাহানের কল লিস্ট দেখে তদন্তকারীদের একটি বড় নাম চোখে পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
বুধবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতে হবে সিআইডিকে। সেই মতো শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এবার সন্দেশখালি মামলার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার দিন যাঁদের কাছে শাহজাহানের ফোন গিয়েছিল, এবার তাঁদের ওপর নজর দেওয়া হবে বলে খবর। শাহজাহানের কল লিস্ট দেখে তদন্তকারীদের একটি বড় নাম চোখে পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ইডির ওপর হামলার ৫৫ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার হাই কোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তোলার নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতাকে হেফাজতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতেই প্রায় ২ ঘণ্টা জেরা হয় সন্দেশখালির 'সন্ত্রাস'কে। আজ সকাল ১১টা থেকে ফের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হবে বলে খবর।
গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ি তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকেরা। সেদিন শাহজাহান নাকি একজন বিধায়ককে ফোন করেন বলে দাবি সিবিআই সূত্রে। শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে ওই বিধায়কের নাম পরিচয় মিলেছে বলে দাবি সিবিআই-এর। তার ওপরে নজর রেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
৫ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ একজন ইডি অফিসার শাহজাহানকে ফোন করে তাঁর বাড়িতে তল্লাশির কথা জানান। এরপর দুপুর দেড়টা অবধি একাধিক ব্যক্তিকে ফোন করেন ওই তৃণমূল নেতা। স্থানীয় নেতা, অনুগামীদের কাছে বহুবার ফোন যায় তাঁর।
জানা গিয়েছে বাড়ির সামনে লোক জড়ো হওয়া প্রসঙ্গে শাহজাহান আগে দাবি করেছিলেন, তাঁকে ভালোবেসে এলাকার মানুষ সেদিন এসেছিলেন। তবে ইলেকট্রনিক এভিডেন্স অন্য কথা বলছে, খবর সিবিআই সূত্রে। এছাড়া জানা যাচ্ছে, ইডি আসছে শুনেই নাকি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে খোঁজখবর রাখতে শুরু করেন শাহজাহান।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকেরা শাহজাহানের বাড়িতে যখন তল্লাশি করতে আসেন তখন শাহজাহান কাদের নির্দেশ দিয়েছিল? ঝামেলা হচ্ছে দেখেও কেন তিনি থামানোর চেষ্টা করেননি? তাঁর বাড়ির বাইরে এত লোক কীভাবে জড়ো হল? সেদিন তিনি কাদের ফোন করেছিলেন? এমনই নানান প্রশ্ন এবার সিবিআই জিজ্ঞেস করবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।