আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে রদবদব করা হল। আর জি করের ঘটনার ফলেই রদবদল হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে যখন তীব্র সমালোচনার মুখে কলকাতা পুলিশ, তখন রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল করা হল। জাভেদ শামিমকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল। এতদিন তিনি গোয়েন্দা বিভাগ এবং এডিজি (নিরাপত্তা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এবার দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বও সামলাবেন শামিম। এই পদে ছিলেন আর রাজাশেখরন। তাঁকে সরিয়ে এবার শামিমকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজভবনেও বদল আনা হয়েছে। রাজভবনের এক কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন। সে কথা মাথায় রেখেই হয়তো এবার রাজ্যপালের এডিসি পদে একজন মহিলাকে আনা হল। এর আগে রাজ্যপালের এডিসি হিসেবে ছিলেন মণীশ জোশী। এবার এই পদে এলেন শান্তি দাস। আইপিএস নন শান্তি। তিনি ডব্লুবিপিএস অফিসার। প্রথমবার রাজ্যপালের এডিসি হিসেবে আইপিএস-এর পরিবর্তে কোনও ডব্লুবিপিএস অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হল। মণীশকে বিধাননগর জোনের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা?
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ এবং তারপর অবাধে ভাঙচুরের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার শামিমের মতো পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির একজন আধিকারিককে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হতে পারে। তবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েলকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রুটিন বদলি, দাবি পুলিশের
রাজ্য পুলিশের দাবি, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার সঙ্গে এই রদবদলের কোনও সম্পর্ক নেই। রুটিন বদলি করা হল। যদিও অনেকেই এই যুক্তি মানতে নারাজ। এবার কলকাতা পুলিশে কোনও বদল হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এবিভিপি কর্মীদের হাত থেকে মমতার ছবি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় পুলিশকর্মীর, 'দলদাস' কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের
রাতের অন্ধকারে আরজিকরে তাণ্ডব! কারা এই দুষ্কৃতীরা? বয়স-সহ নামের তালিকা প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ