কলকাতা পুলিশকর্মীর সঙ্গে সিকিম বেড়াতে যান পাপিয়া? তৃণমূল কাউন্সিলরের সম্পর্কের বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ সোনারপুর পুরসভা!

রাজপুর সোনারপুর পুরসভা চেয়ারম্যান পল্লব দাস জানান এখনও তাদের কাছে কোনও অভিযোগ এসে পৌঁছয়নি। এদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার রাস্তায় বেরোলে যুব-নেতা এবং তাঁর সমর্থকরা তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Parna Sengupta | Published : Dec 18, 2023 5:29 AM IST / Updated: Dec 18 2023, 11:17 AM IST

তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার ও তৃণমূল নেতা প্রতীক দেকে নিয়ে জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। বিতর্ক চরমে তাদের সম্পর্ক নিয়ে। সোনারপুর সরগরম আপাতত। সোনারপুর পুরসভার এই কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ, কাউন্সিলারকে হুমকির বিষয়টি নাকি জানেই না পুরসভা। তিনি এখনও পুরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি বলে দাবি সোনারপুর পুরসভার।

রাজপুর সোনারপুর পুরসভা চেয়ারম্যান পল্লব দাস জানান এখনও তাদের কাছে কোনও অভিযোগ এসে পৌঁছয়নি। এদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার রাস্তায় বেরোলে যুব-নেতা এবং তাঁর সমর্থকরা তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাইই নয়, গভীর রাতে দলবল নিয়ে এসে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক দে হামলা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ!

সূত্রের খবর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের অভিযোগকে ঘিরে চর্চা সোনারপুর জুড়ে। এদিকে দলের কাছেও এই বিষয়ে কোনও কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। এবিষয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুর প্রধান ডা: পল্লব দাস বলেন, আমাকে ফোন করেছিল। আমাকে দেখা করার কথা বলেছি, কিন্তু দেখা করেনি। পুর পরিষেবা বিঘ্নিত হলে ব্যবস্থা নিতাম। ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না।।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পাপিয়ার আদি বাড়ি দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার লক্ষীকান্তপুরে । বাবা কলকাতা পুলিশের কর্মী। সেই সূত্রে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করেন। তবে পাপিয়া ও তার ভাইয়ের জন্ম এখানেই। পদ্মমনি গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করেন পাপিয়া । তারপর বোসপুকুর কলেজ।

অন্যদিকে, ২০১৬ সালে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হওয়ার সুবাদে ওয়ার্ডের সমস্ত কাজ করতেন প্রতীক। পুরসভার উদ্যোগে পাপিয়ার বাড়ির সামনে পুরসভার ড্রেনের তদারকির কাজ করতে গিয়ে প্রথমে দেখা হয় দুজনের। তারপর ফেসবুকে পরিচয় হয় তাঁদের। ধীরে ধীরে আলাপ বাড়ে।

প্রতীকের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন পাপিয়াও। সোনারপুর দক্ষিনের তত্‍কালীন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়, পুরপ্রধান পল্লবকান্তি দাস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সাথে পাপিয়ার পরিচয় করিয়ে দেন প্রতীক। রাজনীতিতে পাপিয়ার পরিচিতি বাড়তে শুরু করলে প্রতীককেই রাজনৈতিক গুরু হিসাবে মানতেন পাপিয়া

পুজোর পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। দেশের বাড়ি যাওয়ার নাম করে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সাথে সিকিমে বেড়াতে যান পাপিয়া। যার বিভিন্ন প্রমান ইতিমধ্যেই দলের নেতৄত্বের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রতীক জানান, কলকাতা পুলিশের ঐ আধিকারিককে দিয়ে এলাকায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন পাপিয়া। এরপরেই দ্বন্দ্ব বাঁধে। সম্পর্কের রসায়ন তলানিতে ঠেকে যায়।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।

Share this article
click me!