'অ-যোগ্যদের তালিকা কেন আমার নাম, বুঝতে পারছি না'! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল কাউন্সিলরের

Published : Aug 31, 2025, 12:47 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

SSC Scam News: অযোগ্যদের তালিকায় নিজের নাম দেখতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের  কাউন্সিলর শিক্ষিকা। নিজের চাকরি নিয়ে কী দাবি তার? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

SSC Scam News: এসএসসি থেকে প্রকাশিত অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় ৬৪৭ নম্বরে নাম রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা চৌহাটি হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা কুহেলি ঘোষের। শনিবার রাতে এসএসসি অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা প্রকাশ করতেই সেখানে নিজের নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোনারপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ।

অযোগ্যদের তালিকায় তার নাম জ্বলজ্বল করতেই ফুঁসে ওঠেন তিনি। বলেন, "২০২২ সালে সিবিআই একই রকম একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানেও আমার নাম ছিল। সেই তালিকা প্রকাশের পরই সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে আমি আদালতে মামলা করি। কারণ, আমি জানি আমি নিজের যোগ্যতায় স্বচ্ছ ভাবে চাকরি পেয়েছি। তারপর থেকে তিন বছরে সিবিআই আমাকে ডাকেনি। এসএসসির তালিকা নিয়েও নতুন করে মামলা করব।"

এদিকে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শেষপর্যন্ত চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। তালিকায় রয়েছে ১৮০৪ জনের নাম। যদিও সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ১৯০০ জন। এদিন চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশেও নাটকীয়তা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারপর তা হঠাৎ করেই প্রত্যাহার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপর এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার কমিশনের দফতরে পৌঁছে যান। বৈঠক হয় আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপর আবারও নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশিত অযোগ্যদের তালিকায় রয়েছে একাধিক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতা-কাউন্সিলরের নাম। কুহেলি ঘোষ ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন-পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। যদিও তিনি যে অযোগ্য শিক্ষিকা তা আগেই প্রমাণ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কারণ, অঙ্কিতাকে আবর্ত করেই এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি একের পর এক তথ্য সামনে আসে। শনিবার এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে নাম রয়েছে হুগলীর খানাকুলের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিভাষ মালিকের। তিনিও ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বসেন। অযোগ্যদের তালিকায় তার নাম রয়েছে-৩১৬ নম্বরে। চাকরি বাতিল হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি তারকেশ্বরের একটি স্কুলে চাকরি করতেন। তিনি নিজে যেমন চাকরি করতেন তেমনই দুর্নীতি করে অনেককেই চাকরিও পাইয়ে দিয়েছেন বিভাষ মালিক।

অযোগ্যদের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরেরও। তিনি রাজপুর সোনারপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাসক দলের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ। যদিও অযোগ্যদের তালিকায় নাম থাকলেও চাকরি বাতিলের প্রথম দিন থেকে তিনি অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কোনওরকম দুর্নীতি করে তিনি চাকরি পাননি। এছাড়াও নাম রয়েছে- পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজয় মাঝি। কবিতা বর্মণ। তিনি উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন তবে বর্তমানে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন কবিতা। অযোগ্যদের তালিকায় আরও রয়েছে- নমিতা আদক, প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, সাহিনা সুলতানার নাম। সাহিনাও তৃণমূলের সহ-সভাপতি ও পূর্ত কমার্ধ্যক্ষের দায়িত্বও সামলেছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?