
গত জুলাই মাসে চুঁচুড়া বানীমন্দির স্কুলে স্মার্ট ক্লাস রুম তৈরী নিয়ে হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। বিধায়ক ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য। অথচ তাকে না জানিয়ে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি কেন এই নিয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে সাংসদকে অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এরপরই সাংসদ বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।তিনি বলেন,আমসত্ত তহবিলের টাকায় বিভিন্ন স্কুলে স্মার্ট ক্লাস রুম তৈরি করবেন তিনি। কারও হিম্মত থাকলে আটকে দেখাক।
বিধায়ক তার কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন সাংসদ। এরপরই দলের নির্দেশে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক। তবে সাংসদ চুঁচুড়ায় সাংসদ রচনা কোন কর্মসূচিতে এলে বিধায়ককে সেই কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তবে চুঁচুড়ায় তার বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত যারা তাদের সঙ্গে আপাতত সন্ধির মনোভাব নিয়েছেন বিধায়ক। কয়েকদিন আগে শহর-সভাপতি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। যাইহোক যে স্কুলের স্মার্ট ক্লাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেই স্কুলেই স্মার্ট ক্লাসের উদ্বোধন নিজের হাতে করে এলেন সাংসদ রচনা।
আজ ক্লাস রুমের উদ্বোধন করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'বিধায়কের যদি সকলকে মিলেমিশে নিয়ে চলার মানসিকতা আগেই থাকতো তাহলে ভালো করতেন। সকলকে মিলেমিশে উনি থাকতে চাইছেন এটা অনেক আগে করলে ভালো হতো।বিভাজনে আমি বিশ্বাসী নই। আজকে উনি সকলের সঙ্গে মিলে মিশছেন কথা বলছেন। আগামী দিনেও যদি মেনে চলেন আমি খুব খুশি হব। কাউকে কখনো ছোট করে কথা বলা উচিত নয় কোন বিদ্রুপ করে কথা বলা উচিত নয়। বিশেষ করে মহিলাদের উপরে। আর যেখানে সেটা স্কুল। শিক্ষার জায়গা বাচ্চারা পড়াশোনা করে এখানে সম্মানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা আছেন। সেখানে গিয়ে জুলুমবাজি করা ঠিক নয়। আর যতক্ষণ আমি সংসদ আমার সংসদ এলাকায় একটা হতে পারে না।আমি চাইবো চেষ্টা করব সকলকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পারি। উনি আসেন নি সেটা ওনার ব্যাপার।আজকে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন হলো আমি ভীষণ খুশি পড়ুয়া শিক্ষিকারা সকলেই খুশি।আমি চেষ্টা করব আগামী দিনে স্কুলে যাতে এটা করতে পারি। '
বিধায়ক কি স্কুলে জুলুমবাজি করেছিলেন? এ প্রশ্নে সাংসদ বলেন,'আমার সামনে হয়নি। নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছিল তাহলে প্রধান শিক্ষিকা আমাকে এ কথা বলতেন না। দিদি এরকম ঘটনা ঘটেছে আপনি একটু দেখুন। আমি বিধায়কের ব্যাপারে এখন আর কিছু বলতে চাই না। উনি বলেছেন আমি ভুল স্বীকার করেছি প্রেসের সামনে। মানুষ যদি ভুল করে ভুল স্বীকার করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া উচিত। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য হলেও বিধায়ক আজ উপস্থিত ছিলেন না। সেটা শিক্ষিকার ইচ্ছা ছিল হয়তো ওই আচরণের পর এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন আর চাইছিলেন না।'