কংগ্রেসের নীতি নির্ধারত কমিটি এআইসিসি-র বৈঠকে তাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। যা নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, তাঁর পদ নিয়ে কোনও মোহ নেই।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই অধীরঞ্জন চৌধুরী মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে তাঁর অভিমান প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন খাড়গের কথায় তিনি কতটা আঘাত পেয়েছে। পাশাপাশি বিদায়ী প্রদেশ সভাপতি তাঁকে প্রাক্তন সভাপতি বলে অভিহিত করারও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সম্প্রতি কংগ্রেসের নীতি নির্ধারত কমিটি এআইসিসি-র বৈঠকে তাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। যা নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, তাঁর পদ নিয়ে কোনও মোহ নেই। তিনি আগেই নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা তা তাঁকে জানান হয়নি। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষণ গুলাম মির সোমবার দিল্লির এআইসিসির বৈঠকে তাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বলে অভিহিত করেন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অধীর বলেন, 'আমি জানতাম যে আমার সভাপতিত্বেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এও জানতাম যে আমি এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু গুলাম মির আমাকে প্রাক্তন সভাপতি বানিয়ে দিয়েছেন। তাতে জানতে পারলাম আমি এখন প্রাক্তন।' গুলাম মিরের নাম না করেই অধীর বলেন, যারা রাজ্যকে চেনে না, কোনও আন্দোলনে থাকে না- তারাই এজাতীয় কাজ করে।
অন্যদিকে অধীর জানিয়েছেন, একটা সময় তিনি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায় প্রবল আঘাত পেয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা আর আধীরের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় অধীর লাগাতার মমতার বিরোধিতা করেন। তখনই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আধীরের পক্ষ না নিয়ে সরাসরি মমতার পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেছিলেন জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড। পাল্টা অধীর বলেছিলেন তিনিও হাইকম্যান্ডের লোক। তারপর পাল্টা খাড়গে অধীরকে নিশানা করে বলেন, 'হাইকম্যান্ডের কথা মানতে হবে। সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে। না হলে বাইরে যেতে হবে।' অধীর জানিয়েছেন এই কথায় তিনি আঘাত পেয়েছিলেন।
পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের দায় মাথায় নিয়ে তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় অধীরের ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু সোমবার গোলাম মির তাঁকে প্রাক্তন সভাপতি বলায় তিনি জানতে পারেন তিনি প্রাক্তন হয়ে গেছে। এই ঘটনাতেও তিনি যে আঘাত পেয়েছেন তা অবশ্য চেপে রাখেননি বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।