
ভরতপুরের বিধায়ক তথা জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রাধান হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের তল্লাশি অভিযান। রবিবার সকালেই তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের একটি দল। কিন্তু পাল্টা হুমায়ুন কবীরের হুঁশিয়ারি পুলিশ যদি তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ করে তাহলে তিনি গোটা বহরমপুর স্তব্ধ করে দেবেন। একই সঙ্গে হুয়ামুন কবীর তাঁর বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হুমায়ুন কবীরের ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে সোহেল রাজ্য পুলিশের এক কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আর সেই কারণে রবিবার হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের খোঁজ খবর শুরু করে পুলিশে একটি দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বিধায়ক অফিসেই নতুন পার্টির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেই বৈঠক চলাকালীনই রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবল, যিনি হুমায়ুনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু হুমায়ুন ছুটির আর্জি খারিজ করে দেন। যা নিয়ে রাজ্য পুলিশের কর্মীর সঙ্গে হুমায়ুনের কথা কাটাকাটি হয়। হুমায়ুন এই কনস্টেবলকে চড় মারেন। পাল্টা চড়াও হয় কনস্টেবল। তারপরই হুমায়ুন পুত্র সোহেল কনস্টেবলকে মারধর করে। তারপরই কনস্টেবল থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
কনস্টেবলের অভিযোগ পেয়েই শক্তিপুরে হুমায়ুনের বাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের একটি দল। হুয়ামুন পুত্রকে আটক করা হয়েছে। হুমায়ুনের দাবি রাজ্য পুলিশের কর্মী তাঁর ও তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁকে অফিস ঘরে গিয়ে মারতে চেয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতেই তিনি ধাক্কা দেন। তিনি প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার কথাও বলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, হুমায়ুনের বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তারপরই হুমায়ুন কবীরে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারকে বলব মুর্শিদাবাদ অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। যাইহোক পুলিশ সূত্রের খবর, হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।