বনধ সফল করতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছে বিজেপি কর্মীরা। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন্ধ ঘিরে চলচে পিকেটিং। বাঁশ দিইয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রাস্তা।
সাত দিনে রাজ্যে মৃত্যু তিন বিজেপি নেতা। ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে নামল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগে আজ ১২ ঘন্টার বনধ ডাকল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বনধ সফল করতে সক্রিয় পদ্ম শিবির। সকাল থেকেই বন্ধ দোকানপাট। বনধ সফল করতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছে বিজেপি কর্মীরা। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন্ধ ঘিরে চলচে পিকেটিং। বাঁশ দিইয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রাস্তা। এমনকী পুলিশের গাড়িকেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে চলে বিক্ষোভও। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ। অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জল কামানও।
প্রসঙ্গত, ১ মে,সোমবার বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। স্ত্রীর সামনেই মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর জোড় করে একটি মোটরবাইকে চাপিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এইদিনই গভীর রাতে বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে মেলে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত কতার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ওঠে বাকচা এলাকা। সোমবার রাতেই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা ও অনুগামীরা। এই খুনের সঙ্গে ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের যোগ থাকার অভিযোগ তুলছে তাঁরা। সংগ্রাম দলুই অবশ্য পালটা দাবি করেন, পারিবারিক বচসার জেরেই এই খুন। গোটা ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মর্মে মঙ্গলবার সকালে টুইটারে একটি পোসটও করেন তিনি। টুইটবার্তায় সুকান্ত লেখেন,'২ মে ২০২১, বাংলার ইতিহাসে একটি অন্ধকার দিন। তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি কর্মকারদের উপর ভয়ঙ্কর সহিংসতা চালায়। রাজ্য জুড়ে চলতে থাকা র্ষণ, অগ্নিসংযোগ, খুন ও লুটপাটের ঘটনা দেখে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে শুধুই মুচকি হেঁসেছেন।'
ঘটনার সমালোচনা করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সোমবার রানিগঞ্জের নিহত বিজেপি নেতার বাড়ি যান তিনি। এদিন তিনি বলেছেন,'গত দু'মাসে এই নিয়ে ৯টা খুন। একটারও কিনারা করা যায়নি। এই পুলিশ কেবল টাকা তুলতেই ব্যস্ত। অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।' অন্যদিকে নিহত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সাউ সিবিআই তদন্তের দাবি করে বলেছেন,'সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তদন্তের নামে পুলিশ মৃতার পরিবারকেই বিব্রত করছে। যদিও আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অবশ্য জানিয়েছেন।'মৃতের পরিবারকে কোনওভাবেই বিব্রত করা হচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে যেটুকু করার দরকার সেটাই করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন -
দণ্ডি কেটে দলে ফেরা তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ অভিষেকের, 'চা চক্রে' চলল আলোচনা
বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদ, মমতাকে আক্রমণ করে ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাক শুভেন্দুর