শুভেন্দু বলেন, তিনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি তৈরি করছেন। অশান্তির কারণ হিসেবে অভিষেকের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।
কাঁথির জনসভা থেকে নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে রীতিমত বদলার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'আমি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। এই ঘটনার বদলা নেব।' তারপরই তিনি হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শুভেন্দু বলেন, তিনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি তৈরি করছেন। অশান্তির কারণ হিসেবে অভিষেকের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, 'গতকাল ভাইপো এসে নন্দীগ্রামে যে উস্কানি দিয়েছে তার প্রত্যক্ষ পরিণাম বচ্ছে এই রক্তপাত। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।' বুধবার রাতে সোনাচূড়ায় রাতপাহারার কাজ করছিলেন বিজেপি। সেই সময়ই দলের মহিলা কর্মী রথিবালা আড়িতে কুপিয়ে খুন করা হয়। আক্রান্ত হয়েছে তাঁর ছেলে। তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পঞ্জা লড়ছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রথীবালা আড়ির মৃত্যুর পরই বিজেপির স্থানীয় নেতা মেঘনাদ পাল গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, অভিষেকের উস্কানিমূলক ভাষণের কারণেই বিজেপির মহিলা কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
যদিও আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। তিনি বলেছেন, গোটা ঘটনার দায় শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী জানেন যে, নন্দীগ্রামে ডেফিসিট খাবে, তাই একটাশেষ পেরেক মারতে হবে। যে মানসাবাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে একটিও তৃণমূলের পতাকা নেই। তবে তৃণমূলের কিছু সমর্থক রয়েছে। বিজেপির উস্যু তৈরি করতে হবে। নিজেদের গন্ডোগোলকে তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। এটাই ওদের কাজ। এটাই ওদের সংস্কৃতি।’ তাঁর কথায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে পিছেয়ে পড়তে পারে বিজেপি। সেই আশঙ্কা থেকেই আশান্তি করে এলাকার মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপি।