স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা গুনিনের। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত গুনিন। ধৃতের নাম সোনা হালদার। ধৃতকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
নেশার আসক্তিতে কাণ্ডজ্ঞান থাকত না স্বামীর, স্ত্রীর উপর চালাত অমানুষিক অত্যাচার। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেশি কথা বললেও জাগত সন্দেহ, চলত প্রচণ্ড মারধর। এই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য উপায় খুঁজছিলেন অসহায় স্ত্রী। স্বামীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য মণি প্রামানিক নামের এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় এক গুনিনের। কিন্তু, সেই গুনিনের কাছ থেকেও জুটল যৌন নির্যাতন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
-
স্বামীর নেশা কাটানোর আশ্বাস দিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল গুনিন। তার নাম, সোনা হালদার। টাকার অঙ্ক দর কষাকষি করে নেমে আসে ৫ হাজার টাকায়। ৫ হাজার টাকা নিয়ে নির্যাতিতা মহিলাকে নিজের স্বামী এবং ছেলেকে ছেড়ে একা আসার নির্দেশ দেয় সোনা হালদার। মহিলা একা আসার পরেই ফাঁকা ঘরে ওই গুনিন তাঁকে কোনও নেশার দ্রব্য খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই তাঁর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত।
-
নেশা থেকে হুঁশ ফিরে এলে চিৎকার করে ওঠেন মহিলা। চেঁচামেচিতে ভয়ে পালিয়ে যায় গুনিন। এরপরেই নির্যাতিতা নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তারপর জানা যায় যে, ধৃত গুনিন সোনা হালদার আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানা এলাকার মুকুন্দপুরের বাসিন্দা। নরেন্দ্রপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে এসে তন্ত্রমন্ত্রের ব্যবসা ফেঁদেছিল সে। শুক্রবারই ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।