West Medinipur News: মাথায় ২০ লক্ষের ঋণের বোঝা, রাতারাতি চাকরি হারিয়ে অথৈ জলে শিক্ষক দম্পতি

Published : Apr 06, 2025, 10:23 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

SSC Verdict: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে রাতারাতি চাকরি খুঁইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। যোগ্য-অযোগ্য সকলেই চাকরি হারিয়েছেন। ফলস্বরূপ মূহুর্তের মধ্যেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরিহারাদের। কারও মাথায় ব্যাপক ঋণের বোঝা, কারও আবা

SSC Verdict: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে রাতারাতি চাকরি খুঁইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। যোগ্য-অযোগ্য সকলেই চাকরি হারিয়েছেন। ফলস্বরূপ মূহুর্তের মধ্যেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরিহারাদের। কারও মাথায় ব্যাপক ঋণের বোঝা, কারও আবার চলছে মোটা অঙ্কের ইএমআই, কেউ কেউ ভাবছেন বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচ এবার কোথা থেকে জোগাড় করবেন! স্বভাবতই রাতের ঘুম উড়েছে সকলেরই।

সব মিলিয়ে গোটা রাজ্য উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের রায়ে ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে যোগ্য -অযোগ্য মিলিয়ে চাকরিহারা শিক্ষক - শিক্ষিকার সংখ্যাটা ছিল ২৫,৭৫৩ মানে প্রায় ২৬০০০ জন।

জানা গিয়েছে, এই চাকরিহারাদের দলে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ভুঁইয়া দম্পতিও। ২০১৬ সালের প্যানেলে নাম ওঠার পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সরকারি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আর চাকরিটার শেষ রক্ষা হল না। জানা গিয়েছে, সরকারি জমি কিনে বাড়ি করার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁরা। চাকরি যাওয়ার পর সেই টাকা কী ভাবে শোধ করবেন, এখন সেই ভেবে রাতের ঘুম উড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শান্তিনাথ ভুঁইয়া ও তাঁর স্ত্রী রুবি চোংদার ভুঁইয়ার।

চন্দ্রকোণা দু'নম্বর ব্লকের ধামকুড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। ২০১৬-র এসএলএসটি-তে পাশ করার পর ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং পর্ব শেষে ২০১৯ সালে একসঙ্গে চাকরি পান ওই দম্পতি। কিন্তু রাতারাতি একসঙ্গে চাকরিটা চলে যাওয়ায় সঙ্গে মাথায় মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা নিয়ে কি করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না ওই দম্পতি। তাঁদের বাড়িতে রয়েছেন প্রবীণ বাবা-মা। পাশাপাশি বাড়ি তৈরির জন্যে ২০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শান্তিনাথ হুগলির শ্যামবাজার গোপালচন্দ্র সেন হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। এবং রুবি হুগলির গোঘাট ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন। তাদের বছর পাঁচেকের একটি ছেলেও রয়েছে। ভাড়া বাড়িতে থাকাকালীন তাঁদের বিয়ে হয়, তাই মাথার উপরে নির্দিষ্ট ছাদ ছিল না। তাই পাকাপাকি বাসস্থানের জন্যে একটি জমি কিনেছিলেন ওই দম্পতি। সেখানে বাড়ি করার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের একটা রায়ে সব আশা নিমেষেই শেষ হয়ে গেল।

এভাবেই এক নিমেষে স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । এ বিষয়ে সকলের মুখে একটাই কথা, কেন তাদের চাকরিটা এভাবে রাতারাতি কেড়ে নেওয়া হল? ফের পরীক্ষা দেওয়ার পরও চাকরি পাওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। হঠাৎ করে এই নির্দেশে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরিহারাদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

SIR-এ সবথেকে বেশি নাম বাদ পড়ল এই জেলা থেকে, রইল জেলা ভিত্তিক সংখ্যা
মেসি উন্মাদনায় ভুগছেন ফুটবলপ্রেমিরা, বিশ্বকাপজয়ী তারকার জন্য বিশেষ মিষ্টি উপহার ফেলু মোদকের