আদালতের এই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বেআইনি নিয়োগ করতে অনেক অতিরিক্ত পদ তৈরি (সুপারনিউমেরিক পদ) করা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকেই।
কলকাতা হাইকোর্ট সোমবারের রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল। শুধু তাই নয়, যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে চাকরি পেয়েছেন আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ২৩৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এসএসসি মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো চাকরি বৈধ হওয়া উচিৎ নয়’।
কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দফতরের যে সব অফিসাররা এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যে অফিসাররা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে তাঁদের হেফাজতে নিতে পারবে। আদালতের এই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বেআইনি নিয়োগ করতে অনেক অতিরিক্ত পদ তৈরি (সুপারনিউমেরিক পদ) করা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকেই। অভিযোগ, নিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত শূন্যপদ ছিল না। এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরই চাকরি দিতে এই পদ তৈরি করা হয়েছিল।
তাই বিজেপি নেতার দাবি চোরদের নিয়োগ করার জন্য বাড়তি পোস্ট তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে! শুভেন্দু বলেন, ''২০২২ সালের ৫ মে ক্যাবিনেটে যারা উপস্থিত ছিল তাদের সবাইকে অবিলম্বে সিবিআই কাস্টডিতে নেওয়ার দাবি করি।''
সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সোমবার বালুরঘাটে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''কলকাতা হাইকোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। যাদের চাকরি চলে গেছে তাদের নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। এদের সামনে দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর যারা সর্বনাশ করেছেন তাদের সর্বনাশ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।