তরুণীর অভিযোগ, মেয়েদের রাত ঘেরাওয়ের সময় প্রতিবাদ মিছিলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল যুবক। আতঙ্কিত ওই তরুণী থানায় অভিযোগ জানাতে যান।
আর পাঁচটা মেয়ের মত সেরাতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন তিনিও। রাত দখলের রাতে সোচ্চার গলায় জানিয়ে ছিলেন প্রতিবাদ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখল করতে বেরিয়েছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল এক যুবক। এরপর থানায় প্রতিবাদীর হয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে এসইউসিআই-এর এক নেতাকে ঠিক থানার বাইরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তরুণীর অভিযোগ, মেয়েদের রাত ঘেরাওয়ের সময় প্রতিবাদ মিছিলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল যুবক। আতঙ্কিত ওই তরুণী থানায় অভিযোগ জানাতে যান। পরিবার ছাড়াও তরুণীর মামা আজিজুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
ওই তরুণীর অভিযোগ, তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও সেখানে তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর তার আধার কার্ডের জেরক্স চাওয়া হয়। তরুণী বলেন, 'আমি এক কাকা ও মামার সঙ্গে থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশের লোকেরা প্রথমে আমার এফআইআর নেয়নি। অনেক অনুরোধ করে এফআইআর লেখা হয়েছে। পুলিশকে নানাভাবে বুঝিয়ে এফআইআর লেখানো হয়। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে বসিয়ে রাখা হয় আমাকে। তারপর অন ডিউটি অফিসার আধার কার্ডের জেরক্স চান। আমি বললাম এখন রাত হয়েছে আমি একা যেতে পারবো না। তাই ফোনে আধার কার্ডের ছবি দিলাম। কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি। বললেন জেরক্স লাগবে।'
আজিজুল বলেন, 'শাসক দল আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদের হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদী এক মেয়েকে শাসকদলের নেতা ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠায় ধর্ষণ হওয়ার জন্য তৈরি হও। আজ মেয়েটি এসেছিলেন জিডি করতে। আমিও গিয়েছিলাম সাথে। সেখানে থানা থেকে মেয়ের আধারের জেরক্স চাইছে। আমি যখন পুলিশ স্টেশন থেকে বের হলাম, তখন মনোজ দে-এর নেতৃত্বে একদল তৃণমূল আমার রাস্তা আটকে মারধর করে।
আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও দিনহাটা সিটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশু ধর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার দিনহাটায় ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।