শুধু সঞ্জয় না আরও কেউ? আরজিকর কাণ্ডে তোলপাড় বঙ্গ, ধৃতের ব্যাপারে খোঁজ নিতেই জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরজিকর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। তরণীর মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা হেডফোনের তারের সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয়েছে সঞ্জয়কে। তরুণীর দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষত চিহ্ন। মূলত শ্বাসরোধ করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত সঞ্জয় রায়ের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে মোট পাঁচটি বিয় করছিল ধৃত। শেষ স্ত্রী ক্যান্সারে মারা যান। বাড়িতে রয়েছে মা ও দিদিরা। খুব বেশি বাড়িতে আসত না সঞ্জয়। মাঝে মধ্যে তাকে পাড়ায় দেখা যেত। পাড়ার লোকেরাও তাকে অত্যন্ত খারা মানুষ বলেই চিহ্নিত করেছেন।
মদ খেয়ে বাড়িতে এসে অশান্তি করত ধৃত। ধৃতের ফোনেও পাওয়া গিয়েছে একাধিক বিরক্তিকর পর্নগ্রাফি। এখনও তদন্ত করছে পুলিশ।
তবে শুধুই কী সঞ্জয় একা? না আরও মাথা রয়েছে এই অপরাধে তা জানতে উত্তাল রাজ্য। সঞ্জয়ের একার পক্ষে এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটানো সম্ভব হল তা নিয়ে শোরগোল সামাজিক মাধ্যমে।
অন্যদিকে তড়ঘড়ি তরুণীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। একবার পোস্টমর্টেম করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দেহ। এই সব কিছু দেখেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে সাধারণ মানুষের মনে। এই ঘটনার পিছনে আরও হাত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
অন্যদিকে আরজিকরকাণ্ডে বিচর চেয়ে উত্তাল বঙ্গ। দফায় দফা নিরাপত্তার জন্য আন্দোলন করছেন চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের আন্দোলন যথাযথ বলেই মনে করেছেন। সিবিআই তদন্তেও তাঁর আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।