
মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। দলীয় কোন্দলের মধ্যে পড়ে আক্রান্ত মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য়ার স্বামী। আক্রান্ত সেই ব্যক্তিকে নিয়েই পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, স্থানীয়রা এর বিহিত চান। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁর। যদিও গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার ছুটির দিনও পুলিশের ব্যস্তাতা যথেষ্টই বাড়ল।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার আহত স্বামীকে নিয়ে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবীতে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন রবিবার। এদিন এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হল মালদার মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবলা এলাকায়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মোথাবাড়ি বিধানসভার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। সেই বিবাদের জেরে ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদ নামে দুই তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। আহত দুজনের স্ত্রী রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তাদের লাঠিসোটা এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুজনকে খুনের চেষ্টা করা হ বলেও অভিযোগ।
রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শামসুন নেহারের স্বামী সাগর সহ তার দলবলই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সেই মারধরের জেরে আক্রান্ত দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হন। এরপর তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাদের নিয়েই রবিবার বাবলা এলাকার বাসীন্দারা বাবলা কমলপুর এলাকায় পথ অবরোধ করেন। এবং ঘটনায় জড়িত সমস্ত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে সোচ্চার হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান শামসুন নেহারা ও তাঁর স্বামী এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। যদিও তাদের ঘনিষ্টরা গোটা ঘোটনার দায় ঝেড়ে ফেলতে চায়।