
খগেন মুর্মুকে মারধরের বিষয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। হেনস্থা করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। খগেন মুর্মুকে এতটাই মারধর করা হয়েছিল যে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের তরজা চলছে
উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলা করেছে তৃণমূলের জেহাদিরা। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি কর্মীরাই সাংসদের উপর হামলা চালিয়েছি,পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
জাতপাতের রাজনীতি নিয়ে বিজেপিকে উইপোকা বলে আক্রমণ শানালেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি। বৃহস্পতিবার মালতীপুরে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা তথা বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। ইউসুফ রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েননি রহিম বকসি। ভরা মঞ্চে তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য করে কু-চক্রান্ত কারীরা জাতপাতের নামে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনীতির মুনাফা লুটতে চাইছে।তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরছে।চিহ্নিত করে সমাজ থেকে বহিস্কার করতে হবে তাদের। কারণ উইপোকা থাকলে মানুষকে ভিতর থেকে শেষ করে দিবে।
যদিও জেলা সভাপতি রহিম বকসি পরে বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেন,বিজেপিকেই উইপোকা বলা হয়েছে। এরা সমাজকে ধ্বংস করতে পারে।তারা যেখানেই যায় সাধারণ মানুষের কাছে মার খাই। সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলা সমর্থন করিনা,তবে বিজেপির কর্মীরাই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রহিম।
যদিও এই বিষয়ে বিজেপি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু খগেন মুর্মু আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কয়েক দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ চলছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি এফআইআর-এ যাদের নাম রয়েছে তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। বিজেপির অভিযোগ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস করছে তৃণমূল কংগ্রেস।