
কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেন এই জয়? সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি তাঁর সোশ্যাল মি়ডিয়া পোস্ট তৃণমূলের জয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস যা ভোট পেয়েছিল উপনির্বাচনে সেই সংখ্যা লাফিয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু কেন এই ভোট সংখ্যা বাড়ল তাই ব্যাখ্যা করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন দেবাংশু, তৃণমূলের আইটি সেলের নেতা।
দেবাংশুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলে প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৩.৮ শতাংশ। আর সোমবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার সময় কয়েক রাউন্ড গণনা শেষে দেখা গেল সেই ভোটের হাত ৬০ শতাংশে উঠে গেছে। তুলনায় বিজেপির ভোট প্রাপ্তির হার কমেছে অনেকটা। বাম - কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানে তেম একটা হেরহেফ হয়নি। দেবাংশুর ব্যাখ্যা বিজেপির হিন্দু-ভোটেকরক অনেকটাই তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য বিজেপির ভোট কমে তৃণমূলের ঝুলিতে আসার নেপথ্যে দেবাংশু স্পষ্ট করে বিরোধী দলনেতাকে দায়ী করেছেন। কটাক্ষ করেছেন তাঁর উগ্র হিন্দুত্ববাদকে। দেবাংশুর বক্তব্য স্পষ্ট করে যদি তাকিয়ে দেখেন, বাম কংগ্রেস তাদের ভোট শতাংশ মোটামুটি ধরে রাখলেও বিজেপির হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসে শিফট করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর উগ্র ও বিকৃত হিন্দুত্ববাদ এই বাংলার শান্তিপ্রিয় সনাতনী হিন্দুরা সগর্বে প্রত্যাখ্যান করলেন। দেবাংশু 'জয় জগন্নাথ!'ও লেখেন।
দেবাংশু আরও বলেছেন, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন কালীগঞ্জের ৭০-৮০ শতাংশ হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দেবেন। কিন্তু তাঁর এই দাবি পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তিনি হিসেব করে দেখিয়ে দিয়েছেন এলাকার সমস্ত হিন্দু বিজেপিকে ভোট দেয়নি। তৃণমূল ও কংগ্রেসও কিছুটা করে ভোট পেয়েছে।
উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সামনে যে তথ্য এসেছে তা হল, তৃণমূল বড় ব্যবধানে জয় পেতে চলেছে। তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্থানের জন্য কড়া টক্কর চলছে বিজেপির আশিস ঘোষ ও বাম সমর্থিত তৃণমূল প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখের মধ্যে।