হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে অস্থির পরিবেশ। এই সময় অনেক ধর্মীয় সংগঠন মিলে গড়ে তোলে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। ফোরামের মুখপাত্র নির্বাচিত হন চিন্ময়। তিনি ইসকনের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষও। তার ডাকে চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এরপর চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। বিএনপি নেতার দায়ের করা মামলায় গত সোমবার চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।
বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্টে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মামলার শুনানি হয়। চিন্ময়কৃষ্ণের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম, রংপুরে বিক্ষোভ চলছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষে একজন আইনজীবীও মারা যান। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ক্রমশ অশান্ত হয়ে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপুরাও বাংলাদেশের সঙ্গে তার সীমান্ত ভাগ করে নেয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিক্ষোভ হয়েছে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন অভিষেক। অধিবেশন শেষে বাংলাদেশ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, "এটি বিদেশি বিষয়। আমরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। বিদেশে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তৃণমূল ভারত সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করবে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার যে অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন, তৃণমূল তা সমর্থন করবে। সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে একথা বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।