
Kalyan Vs Suvendu: রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর 'নকল হিন্দু' মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি শুধুমাত্র যারা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেয় তাদেরকেই হিন্দু বলে মনে করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তিনি কি আসল হিন্দু? বিজেপির হিন্দুত্ব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সকল হিন্দু যারা গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের হিন্দুদের অনুসরণ করে, নিরামিষ খায় এবং 'জয় শ্রীরাম' বলে তারাই সনাতন হিন্দু। তাদের মতে, যারা যরা 'জয় শ্রীরাম' বলে সে-ই হিন্দু।"
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'নকল হিন্দু' বলে অভিযোগ করার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন। শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ থেকে হিন্দু পরিবারের 'পলায়ন'-এর জন্যও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।
রবিবার ANI-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নকল হিন্দু। হিন্দুদের বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরা হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুবিরোধী। তার জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দুরা এখান থেকে পলায়ন করছে।"
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জবাব দিয়ে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন 'ব্রাহ্মণ হিন্দু' সম্প্রদায়ের এবং সকল ধর্মকে সম্মান করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে শুভেন্দু অধিকারী, তার বাবা এবং তার ভাই বহু বছর ধরে মমতার সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু সেই সময় তারা এভাবে ভাবেননি। কুণালের কথায় , "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ব্রাহ্মণ হিন্দু পরিবারের এবং তিনি ধর্মনিরপেক্ষ; তিনি অন্যান্য ধর্মকে সম্মান করেন। শুভেন্দু অধিকারী, তার বাবা এবং তার ভাই বহু বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে বিধায়ক, সাংসদ এবং মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু তখন তিনি এসব ভাবেননি। " রীতিমত কটাক্ষ করে বলে কুণাল।
ওয়াকফ (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় ১১ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এই হিংসায় দু'জন মারা যায়, বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং সম্পত্তির ক্ষতি হয়। হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে এই প্রতিবাদ মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি সহ অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোঁড়া এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। জেলায় জেলায় হিংসাত্মক ঘটনার পরই থেকেই হিন্দুত্ব নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল - তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।