রবিবার শ্বেতিঝোরার কাছে রাস্তায় ধস নামে। তাতেই সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। রাস্তার ওপর ধসের কারণে বিকল্প পথ হিসেবে ডুয়ার্সের গরুবাথান থেকে লাভা-লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং থেকে সিকিমে যাওয়া আসা করা যাচ্ছে।
ধসের কারণে নাজেহাল পর্যটকরা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের কারণে অনেকটাই ঘুর পথে সিকিম যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। যাত্রীবাহী গাড়ি গুলি ঘুর পথে গেলেও পণ্যবাহী গাড়িগুলি সারবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুই দিন আগেই ধস নেমেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা মেরামতি করা হয়নি। শুধু সিকিম নয় কার্শিয়াংএর যাত্রীদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
রবিবার শ্বেতিঝোরার কাছে রাস্তায় ধস নামে। তাতেই সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। রাস্তার ওপর ধসের কারণে বিকল্প পথ হিসেবে ডুয়ার্সের গরুবাথান থেকে লাভা-লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং থেকে সিকিমে যাওয়া আসা করা যাচ্ছে। কিন্তু এতে অনেকটা পথ বেড়ে যায়। সময়ও লাগে অনেকটা। অন্যদিকে সিকিম বা কালিম্পং যেতে হচ্ছে কার্সিয়াং হয়ে। ঘুর পথের কারণে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। অন্যদিকে ধসের ঘটনার পর দুই কেটে গেলে এখনও কেন মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয়রা। শ্বেতিঝোরার কাছে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটা পথেই রাস্তা পারাপার করছে। কিন্তু সমস্যা পর্যটকদের । সমস্যা হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। কারণ অধিকাংশ পণ্যবাহী গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও কালিম্পং পুলিশ শ্বেতিঝোরার কাছে লোহাপুলের কাছে রাস্তা আটকে দিয়েছে। তাই ঘুর পথে অনেক গাড়ি চলছে।
শ্বেতিঝোরা বরাবরই ধস প্রবণ এলাকা। এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করে একটি নোটিশও ঝোলান রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই বিষয়ে উদাসীন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলেও তা নির্ধারিত সময় রাস্তা মেরামতি করা হয় বলেও অভিযোগ এলাকার মানুষের। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। শ্বেতিঝোরা বিদ্যুৎকেন্দ্রও এই এলাকায়। রবিবার ধসের কারণে তিস্তার পাড় বরাবর বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। তাই বিস্তীর্ণ এলাকা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। তিস্তার জল সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে।
ধস ভরাট করা কীভাবে হবে তাই নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কথা বলতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিস্তার জলস্রোত সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছে। জলের ধাক্কায় সুড়ঙ্গ আরও গভীর হচ্ছে। ভরাট করার জন্য বোল্ডার ভরা জাল ফেলা হলেও তলিয়ে যাচ্ছে।
সুড়ঙ্গ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুড়ঙ্গ বন্ধ হয়ে গেলে তারপরই রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন রাস্তা মেরামতি করতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে।