গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা উন্নয়নের জন্য ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু সেই টেন্ডার কে নেবে তা নিয়ে গোল বাঁধল পঞ্চায়েতে।
টেন্ডার দখল করতে অপহরণ! মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রামে। এমনকি আতঙ্কে উপপ্রধানকে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এলাকা উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছে ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতকে। সেই টেন্ডার কে নেবে তা নিয়েই বেশ কিছু দিন ধরে বসসা চলছে তৃণমূলের দুই দলের মধ্যে। অভিযোগ উঠছে টাকার বিনিময় দেওয়া হচ্ছে কাজের টেন্ডার।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা উন্নয়নের জন্য ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু সেই টেন্ডার কে নেবে তা নিয়ে গোল বাঁধল পঞ্চায়েতে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক ডাকা হলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বৈঠকে যোগ দিতে নারাজ পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। অভিযোগ ২৪ জন ঠিকাদারের কাছ থেকে আগেভাগেই ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন এক পঞ্চায়েত সদস্য। এরপরই পঞ্চায়েত সদস্য রুনু মাস্টার পাঁচ দুষ্কৃতীকে নিয়ে মহিলা উপপ্রধান দোলন সাঁতরা মাঝির উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন দোলন। এমনকি প্রায় দু'মাস ধরে 'গৃহবন্দি' থাকতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপপ্রধান। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রুনু। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন,'সদস্যরা স্বেচ্ছায় পঞ্চায়েতের বৈঠকে গিয়ে সই করেছেন।'
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ উঠেছে বরাদ্দ টাকা নয়ছয়েরও। ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্বতী ঘোষের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ চট্টরাজের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি অতিসক্রিয়। তিনি জানান, কোনও টেন্ডার দেওয়া হলে তা থেকে ১০ শতাংশ কমিশন তোলা হয়। তবে সেই কমিশনের টাকা তাঁর হাতে আসে না। ৫০ শতাংশেরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন প্রদীপ চট্টরাজ। এই বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও জানান পঞ্চায়েত প্রধান।
আরও পড়ুন -
পিকনিকে যাওযার পথে বিপত্তি, উত্তরপ্রদেশে বাস উল্টে শিশু দিবসে নিহত ২