সংক্ষিপ্ত
G20 সম্মেলনে অংশ নিয়ে বালি গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কথা হবে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার G20 শীর্ষ সম্মেলন ও বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির বার্ষিক সম্মেলনে যোগদিতে বালি পৌঁছে গেছেন। আর সেখানেই গিয়েই তিনি ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় টুই করে জানিয়েছেন, 'হ্যালো ইন্দোনেশিয়া, G20 সম্মেলনে অংশ নিয়ে বালিতে পৌঁছেছি। রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আমি অপেক্ষায় রয়েছি। '
ইন্দোনেশিয়ায় G20 শীর্ষ সম্মেলন মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে। এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ২০টি দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধানদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উপস্থিত থাকবেন। মোদী দিল্লি ছাড়ার আগে বলেছেন, বালি শীর্ষ সম্মেলনের সময় তিনি বিশ্বের অত্যান্ত জি-২০ ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিক আলোচনা করবেন। যারমধ্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য, ডিজিটাল রীপান্তর।
মোদী আরও বলেছেন তিনি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করবেন। সম্পর্কের অগ্রগতির দিকেই জোর দেবেন। বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা একটি বৈঠক হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর। তিনি মোদীর আগেই বালিতে এসেছেন। ভারত-চিন সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আর সেই প্রসঙ্গে লাদাখ জট কাটানো নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ লাদাখে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় দাঁডিয়ে রয়েছে চিনা সেনা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম মোদী-শি বৈঠক হবে। বেইজিংয়ে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সুসম্পর্ক বজায় রাখা চীন ও ভারত উভয়ের এবং তাদের জনগণের মৌলিক স্বার্থে।
মঙ্গলবার মোদী স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। অন্য একটি বৈঠকে খাদ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হবে। সেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব। মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্দোনেশিয়ার বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করবেন। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।