
ফের পুণ্য অর্জনে গিয়ে প্রয়াত হলেন পুণ্যার্থী। মঙ্গলবার মহাকুম্ভনগরী থেকে ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন দুই মহিলা পুণ্যার্থী।
কদিন আগে টামনা থানার গোপলাডি গ্রামে মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে জাতীয় সড়কে একটি লরি পিষে দেয় তিন পুণ্যার্থীকে। তিনজন মহিলা সে সময় প্রয়াত হন। আড়শাথেকে যাওয়া পুণ্যার্থীদের এই বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেনারসের কাছে।
এবার প্রয়াত হল ঝালদা থানার গড়িয়া গ্রামে দুই মহিলা পুণ্যার্থী। ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার মান্ডু থানা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। গাড়িতে থাকা পুণ্যার্থী ও চালক মিলিয়ে ছয় জন জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষজন তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক দুই মহিলা পুণ্যার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মহিলার নাম বিন্দু মাঝি। বয়স ৩৭। অপরজন পায়রো মাঝি। বয়স ৬৮। তাদের বাড়ি ঝালদা থানার গড়িয়া গ্রামে। দ্রুত প্রশাসনের সহায়তায় ওই মহিলাদের দেহ ঝালদায় আনা হচ্ছে বলে খবর। পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর খবরে শোকার ছায়া নেমে এসেছে ঝালদা থানার গড়িয়া গ্রামে।
বর্তমানে মহাকুম্ভ চলছে পবিত্র স্নান। কোটি কোটি মানুষ ভিড় করছেন সেখানে। ১৪৪ বছর পর তৈরি হয়েছে এই বিশেষ যোগ। যে কারণে দেশ তো বটেই দেশের বাইরে থেকেও কুম্ভস্নানে যোগ দিচ্ছেন মানুষেরা। সাধারণ থেকে সেলেব, রাজনৈতিক নেতা কেউ বাদ যাননি। এদিকে সদ্য কুম্ভ নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কুম্ভের জল স্নারে উপযুক্ত নয়। বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিম্যান্ড-র নিরিখে ওই জল স্নানের উপযুক্ত না। বিভিন্ন সময় এই নদীর জল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতেও দেখা গিয়েছে, ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রার দিক থেকে এই জল উপযুক্ত না। আশঙ্কা করা হয়েছে, কুম্ভমেলার সময় বিশেষ করে শাহি স্নান -র দিনগুলোতে পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণে জলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।