নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই বাংলার একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। বেশ কয়েকজন শ্রীঘরেও রয়েছেন। তবে এবার সেই ইস্যু নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
চলতি মাসের ১৯ তারিখে সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এর আওতায় দেশের ২১টি রাজ্যের ১০২টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর তারকা প্রচারকরাও প্রার্থীদের প্রচারে ব্যস্ত। ভারতীয় জনতা পার্টি হোক বা কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সব দলই আজ তাদের সমস্ত শক্তি কাজে লাগাচ্ছে।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই বাংলার একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। বেশ কয়েকজন শ্রীঘরেও রয়েছেন। তবে এবার সেই ইস্যু নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফাঁসতে চলেছেন। এদিন শুভেন্দু কোনও রাখঢাক না করেই তাঁদের দুজনের নাম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এবার প্রশ্ন তাঁরা কারা!
সম্প্রতি জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন দিল্লি যাওয়ার পথে এই নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার কথায়, রাজ্যের দুই মন্ত্রী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের নামও ফাঁস করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একজন সরকারি আধিকারিক হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে চিঠি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। একইদিনে জিটিএ-কেও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি পাহাড়ের দুই নেতা বিনয় তামাং এবং অনিত থাপা এতে জড়িত। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর হাত ধরেই কলকাতায় এসেছে। বিরোধী দলনেতার এই বিস্ফোরক দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা।
বিচারপতি বসুকে লেখা চিঠিকে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, পাহাড়ে দুই দফায় স্কুল শিক্ষক এবং পুরসভায় প্রায় ৭০০ কর্মীকে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। সেই চিঠিতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং, রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের এক যুব নেতার নাম রয়েছে বলে খবর। শুভেন্দু দাবি করেন, পাহাড়ের এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পার্থ ভৌমিক যুক্ত।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।